‘সিত্রাং’ মোকাবিলায় মাঠে জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা

ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের প্রভাবে উত্তাল রয়েছে সমুদ্র সৈকত। পটুয়াখালী জেলার সব জায়গায় চলছে ভারী বৃষ্টিপাত। সকল নদ-নদীর পানি স্বাভাবিকের থেকে তিন থেকে চার ফুট উচ্চতা দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৭ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত জেলার সকল ধরনের নৌ চলাচল বন্ধ ঘোষণা করেছে নৌ কর্তৃপক্ষ।
এ অবস্থায় জেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা সদর উপজেলা ও পটুয়াখালী পৌর শহরের বিভিন্ন স্থানসহ নদীর পাড়ের বাড়ি বাড়ি গিয়ে জনগণদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রে স্থানান্তরসহ সতর্কতামূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি আরিফ আল-আমিন ও হৃদয় আশীষ বলেন, পূর্বের ন্যায় দেশের যেকোনো সংকটময় সময়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সর্বদা সাধারণ মানুষের পাশে আছে। এই ভয়াবহ প্রাকৃতিক দুর্যোগে জনজীবন বিপর্যস্ত। এই সংকটময় সময় মোকাবিলায় প্রশাসনের পাশাপাশি আমরা জেলা ছাত্রলীগ মাঠে আছি। সাধারণ মানুষের পাশে আছি।
পটুয়াখালী আবাহাওয়া অধিদফতরের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মাহাবুবা সুখি জানান, রবিবার (২৩ অক্টোবর) বিকাল ৩টা থেকে সোমবার (২৪ অক্টোবর) বিকাল ৬টা পর্যন্ত মোট ২৯৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুমন চন্দ্র দেবনাথ জানান, ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় জেলায় ৭০৩টি সাইক্লোন শেল্টার, ২৬টি মুজিব কিল্লা খুলে দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়াও জেলার ৮ উপজেলায় নগদ ৫ লাখ ৭০ হাজার টাকা, ২৫ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলা হয়েছে। ২ হাজার প্যাকেট শুকনা খাবার, ওষুধ ও মেডিক্যাল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে। জেলায় উদ্ধারকর্মী ও স্বেচ্ছাসেবকদের সর্বদা প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
ঝূঁকিপূর্ণ এলাকাগুলোতে ১০ হাজার জিও ব্যাগ ও লোকবল প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন পটুয়াখালী পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আরিফ হোসেন।ইতোমধ্যে অমাবস্যা ও ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাতে তলিয়ে গেছে অনেক ফসলি জমি সহ অনেক নিন্মাঞ্চল না। এছাড়াও পটুয়াখালী পৌর এলাকার জুবলি স্কুল সড়ক, লতিফ স্কুল সড়ক, পুরাতন হাসপাতাল এলাকা ও নিউমার্কেটসহ বেশ কিছু রাস্তাঘাট বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
বিভি/টিটি
মন্তব্য করুন: