নাশকতা মামলায় ছাত্রলীগ নেতাসহ গ্রেফতার ৭

কুষ্টিয়ায় নাশকতা মামলায় জেলা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপসম্পাদকসহ ছাত্রদলের-৭ নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশ।
শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার জিয়ারখী ইউনিয়নের কমলাপুর গ্রামস্থ কুষ্টিয়া জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক জাকির হোসেন সরকারের নিজ বাড়ি থেকে ছাত্রদলের এসব নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে বলে দাবি কুষ্টিয়া মডেল থানা পুলিশের।
তবে নাশকতা সৃষ্টির অভিযোগে ছাত্রদল নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের বিষয়টি স্বাভাবিক মেনে নিলেও গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের উপ-আইনবিষয়ক সম্পাদক মো. সামিউল হক সম্রাটের বিষয়টি আলোচিত বিষয়ে রূপ নিয়েছে।
একদিকে বিএনপির কেন্দ্র ঘোষিত ১০ দফা আদায়ের আন্দোলনে দমনপীড়ন ও গ্রেফতারের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মুক্তাদির স্বাক্ষরিত সাংগঠনিক প্যাডে লিখিত ও প্রেরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে গ্রেফতার সদস্য সচিব খন্দকার তছলিম উদ্দিন নিশাত, ছাত্রদল নেতা হৃদয় হাসান, সানজিদ খান, বাপ্পী, মেহেদী, ওয়াসিম ও মো. সামিউল হক সম্রাট গণ সহ জেলা কৃষকদলের আহ্বায়ক আরিফুর রহমান সুমনসহ নেতাকর্মীর মুক্তি দাবি করা হয়েছে।
অন্যদিকে ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি নাহিয়ান খান জয় এবং সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্জ স্বাক্ষরিত অনুমোদিত কুষ্টিয়া জেলা ছাত্রলীগের কমিটি তালিকায় উপ-আইন বিষয়ক সম্পাদকের পদধারী হিসেবে নাম রয়েছে মো. সামিউল হক সম্রাটের।
জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান অনিক বলেন, ‘নতুন কমিটিতে সম্রাটের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিলো। তবে শেষ পর্যন্ত কি হয়েছে সেটা এমুহুর্তে আমি ঠিক বলতে পারছিনা। নাশকতা মামলায় ছাত্রলীগ নেতা গ্রেফতারের বিষয়টি সম্পর্কে একটু জেলার দলীয় নেতাদের সঙ্গে একটু কথা বলে নিন।’
তবে জেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক মোজাক্কির রহমান রাব্বির মুঠোফোনে কল দিয়ে তা বন্ধ পাওয়া যায়।
কুষ্টিয়া মডেল থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) দেলোয়ার হোসেন খান জানান, ‘অপরাধী যেই হোক তার কোন দলীয় বা সাংগঠনিক পরিচয় আইনের কাছে মূখ্য নয়। নাশকতা সৃষ্টির চেষ্টাকালে ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১১ জনকে গ্রেফতার করেছে তারা সবাই এ মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। রবিবার বিকেলে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত শুনানী শেষে জামিন নামঞ্জুর করে।
বিভি/এইচএ/এইচএস
মন্তব্য করুন: