ভূমিহীনমুক্ত উপজেলার স্বীকৃতি পাচ্ছে শরীয়তপুর সদর উপজেলা

ভূমিহীন মুক্ত উপজেলার স্বীকৃতি পাচ্ছে শরীয়তপুর সদর উপজেলা। দীর্ঘদিন ধরে আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোকে শনাক্ত করে জমি ও ঘর দিয়ে স্বাবলম্বী করার কার্যক্রম পরিচানা করে আসছিল স্থানীয় প্রশাসন। এ উপজেলায় ৩’শ ২টি পরিবারকে ঘর ও জমি দেয়ার কার্যক্রম শেষপর্যায়ে রয়েছে।
আগামী বুধবার (২২ মার্চ) ৪০টি ভূমিহীন পরিবারকে ঘর ও জমি প্রদান শেষে এ উপজেলাকে ভূমিহীনমুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষনা করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে আনন্দে ভাসছে ভূমিহীন পরিবারগুলো।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আশ্রয়ন প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে সারাদেশে ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারগুলোকে শনাক্ত করে একটি সেমি পাকা ঘর ও দুই শতক জমি প্রদানের কর্মসূচি ঘোষণা করেন। এ ঘোষণার পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নেতৃত্বে সারাদেশের উপজেলাগুলোতে প্রকৃত ভূমিহীন ও গৃহহীনদের খুঁজে খুঁজে তালিকা প্রস্তুত করা হয়। সর্বশেষ নভেম্বর’২২ পর্যন্ত শরীয়তপুর সদর উপজেলায় ৩’শ দুইজন ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারেকে তালিকাভুক্ত করা হয়। এদের মধ্য থেকে প্রথমপর্যায়ে ৫০টি, দ্বিতীয় পর্যায়ে ১০০টি ও তৃতীয় পর্যায়ে ১১২টি পরিবারকে ঘর ও জমি প্রদান করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ইতোমধ্যেই বাকি ৪০টি পরিবারের জন্য জমি ও ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করা হয়েছে। ২২ মার্চ চতুর্থ পর্যায়ের ঘর প্রদান অনুষ্ঠানে ওই ৪০টি পরিবারকে ঘরের চাবি ও জমি হস্তান্তর করা হবে।
অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ উপজেলাকে ভূমিহীন ও গৃহহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করবেন। এ যাত্রায় সারাদেশে ১৬০টি উপজেলাকে ভূমিহীনমুক্ত উপজেলার স্বীকৃতি দেয়া হবে।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো. নজরুল ইসলাম বলেন, আশ্রয়ন প্রকল্প-২ থেকে আমাদের উপজেলার একটি ভূমিহীন পরিবারও যেন বাদ না পরে- এমন ভাবে তালিকা তৈরি করা হয়েছে। আবার ভূমিহীন নয়, এমন কোন ব্যাক্তিকেও আশ্রয়নের ঘর দেয়া হয়নি। আমরা সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজটি করেছি।
শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জ্যোতি বিকাশ চন্দ্র বলেন, আশ্রয়ান প্রকল্প-২ এর মাধ্যমে সমাজের প্রান্তিক পর্যায়ের মানুষের কাছে যাওয়ার সুযোগ পেয়েছি। জেলা প্রশাসক স্যার সব সময় এসব মানুষে জন্য হৃদয় থেকে কিছু করার প্রেরণা জুগিয়েছেন। সুযোগ পেলেই স্যার আমাকে নিয়ে আশ্রয়নে ছুঁটতেন। খাস জমি উদ্ধার করে ঘর নির্মাণ শেষে ভূমিহীন পরিবারের হাতে হস্তান্তরের কাজটি চ্যালেঞ্জিং মনে হলেও আমি অনেক উপভোগ করেছি।
প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকতার কারণেই আমরা (ইউএনও) এমন মানবিক কাজে অংশগ্রহণের সুযোগ পেয়েছি। প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রান্তিক এসব মানুষের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
বিভি/এইচজেড/এইচএস
মন্তব্য করুন: