• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

ভৈরবে প্রবাসীর স্ত্রীসহ সন্তানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

প্রকাশিত: ১৬:৪৫, ১৫ মে ২০২৩

ফন্ট সাইজ
ভৈরবে প্রবাসীর স্ত্রীসহ সন্তানের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার

ভৈরবে প্রবাসীর স্ত্রীসহ সন্তানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। মা- ছেলে একসাথে আত্মহত্যা করার ঘটনায় স্বজনদের কান্না আহাজারিতে হাসপাতালে এক হৃদয়বিদারক অবস্থার সৃষ্টি হয়। ইতালী প্রবাসী মো. ফরহাদ আহমেদের স্ত্রী জোনাকী বেগম (২৭) ও তার সন্তান আলিফ (৪) তার বসতঘরে একই সময়ে রশিতে ঝুলে আত্মহত্যা করে। 

সোমবার (১৫ মে) সকাল সাড়ে ১০ টায়  উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের সম্ভুপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহতের স্বজনদের দাবি নিহত গৃহবধূর শ্বাশুড়ি ননদের মানসিক নির্যাতনে এঘটনা ঘটেছে। খবর পেয়ে ভৈরব থানা পুলিশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ছুটে আসে।

ঘটনার বিবরণে জানা গেছে ভৈরবের সম্ভুপুর গ্রামের ফারুক মিয়ার ছেলে ফরহাদ আহমেদ দীর্ঘদিন যাবত ইতালী প্রবাসী। ফরহাদের প্রথম স্ত্রীকে তালাক দেয়ার পর ৬ বছর আগে উপজেলার কালিকাপ্রসাদ এলাকার রইছ মিয়ার মেয়ে জোনাকী বেগমকে সে বিয়ে করে। বিয়ের পর তার একটি ছেলে সন্তান হয়। স্বামী ফরহাদ ইতালীতে প্রবাসে থাকলেও তার স্ত্রী ভৈরবের বাড়িতে শ্বাশুড়ির সাথে বসবাস করত। স্বামীর পাঠানো টাকা- পয়সা, গহনা ও অন্যান্য বিষয়ে প্রায় দিন শ্বাশিড়ি বেবী বেগমের সাথে ঝগড়া হতো বলে জোনাকীর মায়ের দাবি।

পারিবারিক কলহের কারণে জোনাকী বেগম তার শিশুসন্তানসহ আজ সকাল সাড়ে ১০ টায় তার বসত ঘরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যা করে বলে ধারণা করা হচ্ছে। প্রতিবেশী ও স্বজনদের ধারণা জোনাকী প্রথমে তার সন্তানকে ফাঁসিতে ঝুলায় এবং পরে সে নিজে ফাঁসিতে ঝুলে। শ্বাশুড়ি ঘটনা দেখে প্রতিবেশীদের সহায়তায় দুজনকে রশি থেকে নামিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দ্রুত নিয়ে আসে। হাসপাতালে আনার পর কর্তব্যরত ডাক্তার দুজনকেই মৃত ঘোষণা করে। খবর পেয়ে জোনাকীর বাবার বাড়ির স্বজনরা ঘটনাস্থল হাসপাতালে এসে দুটি লাশ দেখে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে।

এসময় শ্বাশুড়ী বেবী বেগম ও তার লোকজন  হাসপাতাল থেকে পালিয়ে যায় বলে অভিযোগ। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসে।

মা ছালেহা বেগম অভিযোগ করে বলেন শ্বাশুড়ী বেবী বেগমের অত্যাচার মানসিক নির্যাতনে আমার মেয়ে তার সন্তানসহ এই ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আমি আমার মেয়ে ও নাতীর  মৃত্যুর বিচার চাই। নিহতের বড় বোন ঝর্না বেগম জানান ঘটনাটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত ডাক্তার নওরীণ ফাতেমা সুরভী জানান, হাসপাতালে দুজনের লাশ আনার পর আমরা দুজনকে মৃত পেয়েছি। দুজনের গলায় বড় ধরনের দাগ আছে আমরা দেখেছি। ময়না তদন্তের রিপোর্টে মৃত্যুর রহস্য উদঘাটন হবে বলে তিনি জানান।

ভৈরব থানার উপ- পরিদর্শক মো. জিন্না জানান, খবর পেয়ে পুলিশের দল নিয়ে আমি দুপুর ১২ টার দিকে হাসপাতালে ছুটে এসে দুটি মরদেহ দেখি। পরে মরদেহগুলির সুরুতহাল তৈরি করেছি। দুজনের গলায় দাগ রয়েছে। কেন, কি কারণে মা ছেলে একসাথে আত্মহত্যা করল তা তদন্ত করে উদঘাটন করা হবে। নিহতের পরিবার থানায় অভিযোগ দিলে আমরা ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।

বিভি/রিসি

মন্তব্য করুন: