কালবৈশাখীর তাণ্ডবে সর্বস্বান্ত নীলফামারী

নীলফামারীর ৩ উপজেলায় কালবৈশাখী ঝড়ের হানায় সর্বস্বান্ত জনজীবন। সর্বস্ব হারিয়ে এখন খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন পরিবারগুলি।
সোমবার (১৫ মে) রাত আনুমানিক ৯ টা ৩০ মিনিটের দিকে হঠাৎ শুরু হয় এ ঘূর্ণিঝড় আছড়ে পড়ায় লন্ডভন্ড হয়েছে জেলার সদরের লক্ষিচাপ ৯ নং ওয়ার্ড, জলঢাকার শিমুলবাড়ি ১ ও ২ নং ওয়ার্ড। এছাড়াও ডিমলা সদর ইউনিয়নের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয় ।
ঝড়ে ওই সব এলাকার শত শত হেক্টর জমির ভুট্টা, বোরো ধান মাটির সাথে মিশে গেছে। আম, কাঁঠাল, কলাগাছসহ লিচুরও ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। সেইসাথে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে আছে রাত থেকেই। বহু ঘরবাড়ির টিনের চাল উড়ে গেছে। ঘরবাড়ি হারিয়ে অনেকেই স্থান নিয়েছে খোলা আকাশের নিচে।
মঙ্গলবার (১৬ মে/২৩ ) সকালে সরেজমিনে সদসরের লক্ষিচাপ ও জলঢাকার শিমুলবাড়ি ও ডিমলা সদররের ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, হঠাৎ এই ঝড়ে বিভিন্ন স্থানে উপড়ে ও ভেঙে পড়ে আছে বড় বড় গাছ। উপড়ে পড়া ও ভেঙ্গে যাওয়া গাছ অপসারণের কাজ করছে স্থানীয়রা। আবার অনেকেই গাছ কাটা শ্রমিকের খোঁজে ছুটাছুটি করছেন।
লক্ষিচাপ ইউনিয়নের আকাশকুঁড়ি বন্দরপাড়ার হোটেল ব্যবসায়ী প্রফুল্ল চন্দ্র রায় বলেন, হামরা ব্যবসাই করিছি। প্রায় সাড়ে ৯ টার দিকে হঠাৎ প্রচন্ড বাতাস শুরু হইল। একেবারেই সবকিছু উড়ি নিয়া গেলো। কিছু সরেরও পাইনো না বাহে। গরিব মানুষ এই হোটেল দিয়ায় ৬ জন লোক চলি। এখন কি হইবে হামার?
লক্ষিচাপ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়্যারম্যান মো. আমিনুর রহমান বলেন, কালবৈশাখী ঝড়ে আমার ইউনিয়নের ৯ নং ওয়ার্ডে ব্যপক ক্ষয়ক্ষতির খবর পেয়েছি। এছাড়া ফসলেরও ক্ষতি হয়েছে। কাঁচা ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় করা সম্ভব হয়নি। আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।
জানতে চাইলে নীলফামারী জেলা প্রশাসক পঙ্কজ ঘোষ জানান, ঝড়ে ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয়ে কাজ করছে জেলা প্রশাসন। ক্ষতিগ্রস্তের তালিকা পেলে সাধ্যমতো সহযোগীতা করা হবে।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: