সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলা সেই বাদশা এখন কৃষক

ছবি: ফেসবুক লাইভে সনদ ছিঁড়ে ফেলা বাদশা মিয়া
চাকরির চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে হতাশায় একাডেমিক সব সনদপত্র ছিঁড়ে ফেলা নীলফামারির বাদশা মিয়া এখন কৃষক। সরকারি-বেসরকারিভাবে প্রশিক্ষণে উদ্যোক্তা হওয়ার স্বপ্ন তার। বাবার যতসামান্য জমির ফসলে কোনোরকমে দিন কাটছে তার পরিবারের।
নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের সুন্দর খাতা গ্রামের কৃষকের ছেলে বাদশা মিয়া। পড়াশোনা করেছেন বহু কষ্টশিস্টে। ফিজিক্সে স্নাতক শেষ করে অর্থের অভাবে আর এগোতে পারেননি। ছুটতে থাকেন চাকরির পেছনে। একে একে সরকারি-বেসরকারি প্রায় অর্ধশতাধিক প্রতিষ্ঠানে পরীক্ষা দিয়েও কর্মসংস্থান না হওয়ায় ভেঙে পড়েন হতাশায়। এক পর্যায়ে সরকারি চাকরির বয়সসীমাও পেরিয়ে যায়। ক্ষোভে-দুঃখে ফেসবুক লাইভে এসে ছিঁড়ে ফেলেন শিক্ষাজীবনের সব সনদপত্র।
এমনই কষ্টে সম্প্রতি সার্টিফিকেট ছিঁড়ে ফেলার পর ভালো বেতনে চাকরি হয় ইডেনের এক ছাত্রীর। কিন্তু, নামে বাদশা হলেও নীলফামারির বাদশা মিয়ার কপাল মন্দ। সনদপত্র ছিঁড়ে ফেলার আট মাস পেরিয়ে গেলেও কেউ পাশে দাঁড়ায়নি, উল্টো জুটেছে হুমকি-ধমকি।
বাবার তিন বিঘা জমিতে ধান-ভূট্টাসহ বিভিন ফসল চাষাবাদ ও তিনটি গাভী দেখভাল করে জীবন কাটছে বাদশা মিয়ার। ছেলের পড়াশোনার জন্য সম্পত্তি বিক্রি করে কষ্ট পোহাচ্ছেন বাদশার বাবাও ।
বড় বড় ডিগ্রি নিয়ে চাকরি না হলে, লেখাপড়া করে কী লাভ?- এমন ক্ষোভ ও প্রশ্ন স্থানীয়দের।
পড়াশোনা শিখে চাকরি খোঁজার চেয়ে কর্মমুখী শিক্ষার নিশ্চয়তা চান নীলফামারী ডিমলার বাদশা মিয়ার প্রতিবেশীরাও।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: