মিতালিকে ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যা, তিন বছর পর গৃহশিক্ষকের মৃত্যুদণ্ড

রাঙামাটি জেলার কাপ্তাই উপজেলার রাইখালী চন্দ্রঘোনা বড়খোলা পাড়ার আলোচিত শিশু মিতালী মারমা (৯) ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যায় অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক অংবাচিং মারমা ওরফে আবাসুকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছেন আদালত। রাঙামাটি নারীও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল এর বিজ্ঞ বিচারক জেলা ও দায়রা জজ এ ই এম ইসমাইল হোসেন প্যানেল কোড তাকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দেন।
আসামি অংবাচিং মারমা ওরফে আবাসু ওই এলাকার উচাখ্যাই মারমার ছেলে।বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে এ রায় দেন বিচারক জেলা দায়রা ও জজ এ ই এম ইসমাইল হোসেন।
প্যানেল কোড ১৮৬০ এর ৩০২ ও ২০১ ধারায় ধর্ষণের চেষ্টা ও হত্যার দায়ে আসামিকে এক রায়ে ১০ বছর সশ্রম কারাদণ্ড ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং হত্যাকাণ্ডের রায়ে মৃত্যুদণ্ড ও ১ লক্ষ টাকা জরিমানা করে রায় প্রদান করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সাইফুল ইসলাম অভি বলেন, রাঙামাটি দায়রা ও জজ আদালত যে যুগান্তকারী রায় দিয়েছে এই রায়ে আমরা সন্তোষ প্রকাশ করছি। মামলার বাদী ও ভিক্টিমের পিতা মৃত্যুদণ্ড রায়ে আদালতের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। আমি মনে করি এ রায়ের মাধ্যমে সমাজে নারী ও শিশু নির্যাতন প্রবণতা কমে আসবে। সাথে সাথে এ এধরনের অপরাধ করতে কেউ সাহস পাবে না।
আসামিপক্ষের আইনজীবী মামুনুর রশিদ বলেন, রাঙামাটি দায়রা ও জজ আদালতে চমৎকার একটি রায় দিয়েছেন। তবে আমি যেহেতু আসামি পক্ষের আইনজীবী সে সুবাদে আসামি মুক্তি পেতে তার পক্ষে উচ্চ আদালতে আপিল করবো। তবে এ রায় নারী ও শিশু নির্যাতন কমে আসবে বলে আশা করি।
এজাহারকারী বাদী ভিক্টিমের বাবা চাথুই অং মারমা বলেন, আদালতে কাছে আমি ন্যায় বিচার পেয়েছি। তাই আদালতের সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানাই। আমার মতো যেন আর কারও মা বাবার বুক খালি না হয়।
গত ২০১৯ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি কাপ্তাই উপজেলা রাইখালী চন্দ্রঘোনা বড়খোলা পাড়ায় গৃহশিক্ষকের কাছে প্রাইভেট পড়তে গিয়ে প্রথমে ধর্ষণের শিকার পরে হত্যা করা হয় তৃতীয় শ্রেণির ওই শিক্ষার্থীকে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: