মেয়র আব্বাস কারাগারে

ঢাকায় র্যাবের হাতে গ্রেফতার রাজশাহীর কাটাখালী পৌরসভার বহু আলোচিত মেয়র আব্বাস আলীকে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে রাজশাহীর আদালতে সোপর্দ করেছে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে তাকে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টায় মেয়র আব্বাসকে আদালতে তোলা হয়।
আদালত সূত্রে জানা যায়, আদালতে সোপর্দের সময়ই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। তবে এর শুনানি অনুষ্ঠিত হয়নি। রবিবার (৫ ডিসেম্বর) রিমান্ড আবেদনের শুনানি হওয়ার কথা আছে। শুনানি না হওয়ায় আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
রাজশাহী মেট্রোপলিটন পুলিশের (আরএমপি) অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (সদর) মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস সংবাদ মাধ্যমকে জানান, বুধবার (১ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর রাজমণি ইসা খাঁ নামের একটি আবাসিক হোটেল থেকে তাকে আটক করে র্যাব। পরে ওই দিন (১ ডিসেম্বর) রাতেই র্যাব-এর কাছ থেকে আব্বাসকে গ্রহণ করে বোয়ালিয়া থানা পুলিশ। এরপর তাকে নিয়ে রাজশাহীর উদ্দেশে রওনা দেওয়া হয়। সকাল ৭টা ৪০ মিনিটে তাকে নিয়ে রাজশাহী পৌঁছায় পুলিশ। রাজশাহীতে আসার পর তাকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করা হয়।
পুলিশের এই ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, মূলতঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-এর ম্যুরাল স্থাপন নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে মেয়র আব্বাস আলী’র বিরুদ্ধে ২৩ নভেম্বর রাতে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে বোয়ালিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছিলো। মামলাটির বাদী রাসিকের ১৩ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি আব্দুল মোমিন।
পুলিশ সদর দফতরকে মামলার বিষয়টি জানানো হয়। সেখান থেকে ২৪ নভেম্বর অনুমোদনের পর মামলাটি গ্রহণ করা হয়। মামলাটি তদন্তের দায়িত্বে আছেন উপ-পরিদর্শক (এসআই) শাহাবুল আলম।
গোলাম রুহুল কুদ্দুস আরও জানান, মামলাটি গ্রহণ হওয়ার পর থেকেই কাটাখালী পৌরসভার মেয়র আব্বাস আলী আত্মগোপনে যান। এমনকি গ্রেফতার এড়াতে তিনি দেশ ছেড়ে পালানোর পরিকল্পনা করেছিলেন। সেই উদ্দেশ্যে ঢাকার বিভিন্ন হোটেলে আত্মগোপনে ছিলেন তিনি। বুধবার ভোরে তাকে আটকের পর পুলিশকে এসব তথ্য জানিয়েছেন র্যাব-এর মুখপাত্র কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। তাকে গ্রেফতারের পর র্যাব তার পাসপোর্ট জব্দ করে।
বিভি/এএন
মন্তব্য করুন: