ফেসবুকে ‘মানহানি’ ঠেকাতে হাইকোর্টের কমিটি গঠন

সংগৃহীত ছবি
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মানহানিকর কনটেন্ট নিয়ন্ত্রণে কী করা যায় সেই বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করে দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিট আবেদনের প্রেক্ষিতে আজ বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামান-এর হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে ফেসবুক নিয়ন্ত্রণে সরকারের নিস্ক্রিয়তা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছে উচ্চ আদালত।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষযক সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যান-এর সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বাংলাদেশ ব্যাংক, বাংলাদেশ সংবাদ পত্র অ্যাসোসিয়েশন ও টেলিভিশন চ্যানেলগুলোর একজন করে প্রতিনিধি কমিটিতে রাখতে বলা হয়েছে। আগামী ৩০ দিনের মধ্যে এই কমিটিকে প্রতিবেদন আকারে সুপারিশ দাখিল করতে বলা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
জনস্বার্থে রিট অবেদনটি করেছেন বেসরকারি টিভি চ্যানেল দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক আরিফ হাসান। তার পক্ষে আদালতে শুনানি করেন আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
আইনজীবী মোস্তাফিজুর রহমান খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘রুল ও কমিটি গঠনের পাশাপাশি আদালত আরেকটি নির্দেশনা দিয়েছেন। ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের সাধারণ নাগরিক ও পদস্ত কর্মকর্তাদের নিয়ে মানহানিকর যেসব বক্তব্য, মন্তব্য প্রচার-প্রকাশ করা হয়, সেগুলো নিয়ন্ত্রণে পদক্ষেপ নিতে রিটকারী গত ৬ মার্চ বিবাদিদের কাছে যে আবেদন করেছিলেন, সেটি ১৫ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করে আদালতে হলফনামাও দাখিল করতে বলা হয়েছে।’
ফেসবুকসহ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দেশের নাগরিক নিয়ে মানহানিকর কনটেন্ট প্রচার-প্রকাশ নিয়ন্ত্রণে কার্যদকর পদক্ষেপ নিতে বিবাদীদের ব্যর্থতা কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চাওয়া হয়েছে রুলে।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব, আইন মন্ত্রণালয়ের লেজিসলেটিভ ও সংসদ বিষযক সচিব, তথ্য ও সম্প্রচার সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়ের অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব, পররাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসির চেয়ারম্যানের সঙ্গে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান ও বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিভি/এএন
মন্তব্য করুন: