কারাগারে ছাত্রদল নেতার মৃত্যু: সাড়ে ৪ বছর পর মামলার আবেদন গৃহিত

প্রতীকী ছবি
কারাগারে ছাত্রদল নেতা জাকির হোসেন মিলনের মৃত্যুর সাড়ে ৪ বছর পর পুলিশের দুই ওসিসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন গ্রহণ করেছেন আদালত। আগামী ১৭ অক্টোবর মামলাটির অধিকতর শুনানির জন্য দিন ধার্য করা হয়েছে।
নিহত মিলন ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সহসভাপতি ও তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ছিলেন। এ ঘটনার প্রায় সাড়ে চার বছর পর ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. আছাদুজ্জামানের আদালতে বুধবার (১২ অক্টোবর) মিলনের চাচা বি এম অলি উল্যাহ বাদী হয়ে এ আবেদন করলে আদালত মামলা গ্রহণ করে অধিকতর শুনানির দিন ধার্য করেন। বাদীপক্ষের আইনজীবী মাসুদ আহমেদ তালুকদার তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন।
মামলার আবেদন অনুযায়ী আসামীরা হলেন- ঘটনাকালীন শাহবাগ থানার দায়িত্বরত অফিসার ইনচার্জ মো. আবুল হাসান, এসআই সুজন কুমার রায়, সাইদুর রহমান মুন্সি, অমল কৃষ্ণ, শাহরিয়ার রেজাসহ ৪/৫ জন পুলিশ অফিসার ও ৪/৫ জন পুলিশ সদস্য। এছাড়াও ঘটনাকালীন রমনা মডেল থানার দায়িত্বরত অফিসার ইনচার্জ কাজী মাইনুল ইসলামসহ ৪/৫ জন পুলিশ সদস্য।
মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৮ সালের ৬ মার্চ বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার ও সাজা দেওয়ার প্রতিবাদে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধন শেষে ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ মিছিল মৎস্যভবনের কাছে পৌঁছালে ভিকটিম ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রদলের সভাপতি ও তেজগাঁও থানা ছাত্রদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি জাকির হোসেন মিলনসহ কয়েকজনকে রমনা থানা পুলিশ গ্রেফতার করে। গ্রেফতারের পর থানায় নিয়ে নির্যাতন করা হয়।
পরবর্তীতে শাহবাগ থানায় নিয়ে সেখানেও নির্মম ও বর্বরোচিত নির্যাতন করা হয়। ৮ মার্চ চীফ মেট্টোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে রিমান্ডের আবেদন করে। রিমান্ড মঞ্জুর হলে শাহবাগ থানায় নিয়ে আবারো অমানুষিক নির্যাতন করে গুরুত্বর অবস্থায় আদালতের মাধ্যমে কারাগারে প্রেরণ করা হয়। কারাগারে অসুস্থ হয়ে পড়লে জেল কর্তৃপক্ষ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠান। সেখানে তার মৃত্যু হয়।
বিভি/ এসএইচ
মন্তব্য করুন: