এক পিন্টুতে অতিষ্ঠ রাজধানীর বাড্ডাবাসী

ছবি: নকল পুলিশের সঙ্গে প্রতারক গোলাম সরওয়ার পিন্টু (মাঝে গোল চিহ্নিত)
গোলাম সরওয়ার পিন্টু, রাজধানীর বাড্ডা এলাকার জামাই হিসেবে পরিচিত। তবে এই পরিচয়ের চেয়েও তার বড় পরিচয়- তিনি কখনো ম্যাজিস্ট্রেট, আবারও কখনও হয়ে যান সাংবাদিক, কখনও এলাকার জনপ্রতিনিধি।
শুধু তাই নয়- সাংবাদিকদের কাছেও নিজেকে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন টিমের প্রধান দাবি করেন তিনি। যদিও খোঁজ নিয়ে জানা গেলো- এসবের কিছুই নন তিনি। আসলে তার এতোসব পরিচয়ের একটাই উদ্দেশ্য- এলাকার অসহায় মানুষের উপর প্রভার বিস্তার করা। এমনটাই মনে করেন স্থানীয়রা।
প্রায়শই এলাকায় আলোচনায় উঠে আসে তার নাম। কখনও জমি দখল, আবার কখনও বাসা ভাড়া না দেওয়ায় অভিযোগ। আবার কখনও কখনও পুলিশের যোগসাজসে নিরাপরাধ মানুষকে মামলায় ফাঁসিয়ে। এমন অসংখ্যা অভিযোগ তার বিরুদ্ধে।
সম্প্রতি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আগামী নির্বাচনকে সামনে রেখে একুশে ফেব্রুয়ারির পোস্টার ছাপিয়েছেন পিন্টু। ওই পোস্টারে সাবেক এক পুলিশ কর্তার ছবি দিয়েছেন তিনি। উদ্দেশ্য একটাই- ওই কর্তার ছবি ব্যবহার করে এলাকায় প্রভাব বিস্তার করা। তবে ওই কর্মকর্তা বিষয়টি জানার পর পোস্টার সরিয়ে নিয়েছেন পিন্টু।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক এলাকাবাসী পিন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলেন, পিন্টু সাধারণ মানুষকে ছলে-বলে-কৌশলে নানা প্রকার হয়রানি করেন। আর এসব করতে প্রভাবশালী ব্যক্তিদের এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমের নাম ব্যবহার করেন।
গোলাম সরওয়ার পিন্টু ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট সেজে প্রতারণার দায়ে এবং রাষ্ট্রবিরোধী মামলায় একাধিকবার জেল খাটলেও থামছে না তার বিভিন্ন অপকৌশল। তাই পিন্টুর উপদ্রব থেকে মুক্তি চায় এলাকাবাসী।
তবে পিন্টুর দাবি- জেল খাটাতো দূরের কথা, তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো জিডি পর্যন্ত নেই। অথচ পিন্টুর বিরুদ্ধে কয়েক মাসের ভাড়া না দেওয়া অভিযোগে থানায় জিডির প্রমাণ রয়েছে বাংলাভিশনের কাছে।
তাছাড়া সিদ্ধিরগঞ্জে ভুয়া ম্যাজিস্ট্রেট সেজে গ্রেফতার হয়ে জেল খাটা এবং বাড্ডা থানায় রাষ্ট্রবিরোধী মামলায় কয়েক মাস জেল খাটার সব তথ্য-প্রমাণ রয়েছে।
বিভি/এসএইচ
মন্তব্য করুন: