• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

জেলে হত্যা মামলা টাকার বিনিময়ে রফাদফা চেষ্টা!

ভোলা প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৩৭, ১৬ মার্চ ২০২৪

ফন্ট সাইজ
জেলে হত্যা মামলা টাকার বিনিময়ে রফাদফা চেষ্টা!

১নং ওয়ার্ড মেম্বার সালাউদ্দিন

দ্বীপ জেলা ভোলার জেলে হত্যার মামলা বাদীর সাথে টাকার বিনিময়ে রফাদফা চেষ্টার  অভিযোগ উঠেছে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মালেক মিঝি ও ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যে সালাউদ্দিন বিরুদ্ধে। রফাদফা রাজি না হওয়ায় বিভিন্ন হুমকি-ধামকী দেন বাদীকে।

জানা গেছে, ভোলার সদর উপজেলা ২নং পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের তোফাজ্জেল-মিনারা বেগম ৫ ছেলেমেয়ে নিয়ে অভাবে অনটনে দিন কাটায়। ৪র্থ সন্তান রাসেল ভোলার ইলিশায় নানা বাড়ীতে থেকে নদীতে মাছ ধরার কাজ করতেন। বাকী সন্তাদেরকে নিয়ে মা বাবা ঢাকায় কাজ করতেন।

রাসেলের সঙ্গে একই নৌকায় মাছ ধরতেন সহপাঠী মো:রিয়াজ। মাছ ধরার জাল ঠিক করার কাজ করতে এক পর্যায় সিগারেট খাওয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি ও হাতাহাতি হয় দুজনের মধ্যে। এসময় রিয়াজ জাল কাটা ছুরি দিয়ে রাসেলের গলায় কোপ দেন। এ সময় আহত রাসেলকে উদ্ধার করতে আসেন পাশে থাকা মামুন মাল। তার হাতেও কোপ দেয় রিয়াজ। পরে অন্যান্যরা এগিয়ে এসে রাসেলকে উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক রাসেলকে মৃত ঘোষণা করেন। 

এঘটনার পর ভোলা আদালত এ মামলা দায়ের করেন রাসেলের মা মিনারা বেগম। হত্যার প্রায় ছয়মাস পেরিয়ে গেলেও এখনও কোন বিচার না পেয়ে আদালতের বারান্দায় দৌড়াচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে আসামির স্বজনরা পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মালেক মিঝি ও ইউপি সদস্য সালাউদ্দিনকে দিয়ে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে চাপ প্রয়োগ করেন।

অভিযোগ উঠেছে মামলা না তোলায় বাদী মিনারাকে মারতেও আসেন ইউপি সদস্য মালেক মিঝি। দুই লাখ বিশ হাজার টাকার বিনিময়ে মামলা তুলতে চাপ প্রয়োগ করেন সালাউদ্দিন। 

এ ব্যাপারে পূর্ব ইলিশা ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান মালেক মিঝি বলেন, মিনারা একটা বেয়াদব। ঐ মহিলার কথাবার্তা খারাপ। মূল কাহিনী আমি জানি না। তবে আমার একজন ভাই আছে মাছ ঘাটে হয়তো সে মেম্বার সালাউদ্দিন এর সাথে গেছে। ঘটনা তো মাছ ঘাটে হয়েছে। এটা আমি জানি না পুরোপুরি। আমি জানতে পারলে পরে বলবো।

ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে প্রধানমন্ত্রী কাছে আবেদন করেন বাদী মিনারা। মিনারা বেগম অভিযোগে আরো বলেন, এখন ছেলে হত্যার বিচার চেয়ে আমার জীবনও হুমকি মুখে।আমি আমার জীবনের নিরাপত্তা চাই। আমি আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: