• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ০১ জুলাই ২০২৪

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

জাল সার্টিফিকেটে পরিবার পরিকল্পনায় চাকরি করছেন শিপ্রা সরকার

প্রকাশিত: ১৮:৩৫, ২৭ জুন ২০২৪

আপডেট: ১৮:৪৩, ২৭ জুন ২০২৪

ফন্ট সাইজ
জাল সার্টিফিকেটে পরিবার পরিকল্পনায় চাকরি করছেন শিপ্রা সরকার

বরগুনা জেলার বামনা উপজেলায় সার্টিফিকেট জালিয়াতি করে পরিবার কল্যাণ প্রবেশিকা পদে চাকরি করছেন শিপ্রা সরকার নামে একজন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর থেকেই আত্মগোপনে অভিযুক্ত শিপ্রা এবং তার স্বামী বামনা উপজেলা পরিবার পরিকল্পনায় এমএলএস ও নৈশ প্রহরী হিসেবে চাকরি করা তপন কুমার রায়।

এ ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটি তাদের প্রতিবেদন দাখিল করেছেন পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরে। অভিযোগ রয়েছে, অজ্ঞাত কারণে জালিয়াতি প্রমাণিত হলেও ব্যবস্থা নিতে সময়ক্ষেপণ করা হচ্ছে।

জানা গেছে, পিরোজপুর জেলার মঠবাড়িয়া উপজেলায় বাঁশবুনিয়া রাশেদিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক হিসেবে চাকরি করছেন সমাপ্তি বিশ্বাস। তার সার্টিফিকেটের শুধু নাম পরিবর্তন করে শিপ্রা সরকার লিখে একটি জাল সার্টিফিকেট তৈরি করেন। সেই সার্টিফিকেট দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে চাকরি করছেন শিপ্রা সরকার।

এ বিষয়ে শিপ্রা সরকারকে বারবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেননি। অন্যদিকে সমাপ্তি বিশ্বাস জানান, গত বছরের দুই অক্টোবর এসবির একজন কর্মকর্তা তাকে ফোন করে চাকরি এবং সার্টিফিকেটের তথ্য জানতে চান। তখন তাকে মূল সার্টিফিকেট দেখানোর পাশাপাশি অনুলিপি দেই। এরপরে বিষয়টি পরিবার পরিকল্পনা অধিদফতরের মহাপরিচালক বরাবর একটি চিঠি দিয়ে অবগত করি এবং ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ জানাই।

এ ঘটনার পর বরগুনা জেলার উপপরিচালক মাহমুদুল হক আজাদ তদন্তের স্বার্থে বামনা যেতে অনুরোধ জানালে সমাপ্তি বিশ্বাস অপারগতা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, তদন্তের স্বার্থে তিনি তার তথ্যের অনুলিপি সরবরাহ করেছেন। এখন যে অন্যায় করেছেন তদন্তে প্রমাণিত হলে তার বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠান ব্যবস্থা নিবেন। আর যদি আমি মিথ্যা তথ্য দেই তাহলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন তারা।

বরগুনার উপপরিচালক মাহমুদুল হক আজাদ জানান, সমাপ্তিকে বারবার আসতে অনুরোধ জানালে সে উপস্থিত হননি। সে উপস্থিত হলে তদন্তের অগ্রগতি আরও ভালো হতো। আমরা পুলিশ প্রতিবেদনে যা পেয়েছি তদন্তের রিপোর্টে তাই উল্লেখ করেছি। এছাড়া আমাদের নিজস্ব তদন্তে যা পেয়েছি তা অধিদফতরকে অবগত করেছি। এখন অধিদফতর সিদ্ধান্ত দেবে।

অভিযোগ রয়েছে, শিপ্রা সরকারের স্বামী তপন কুমার রায় এমএলএস এবং নৈশ প্রহরী হিসেবে চাকরি করলেও তিনি ঠিকমতো অফিস করেন না। তিনি তার মায়ের বয়স ৬০ বছর লুকিয়ে জালিয়াতি করে ৩০ বছর দেখিয়ে বামনা পরিবার পরিকল্পনা অফিসে ভলান্টিয়ার পদে চাকরি পাইয়ে দিয়েছিলেন।

বিভি/টিটি

মন্তব্য করুন: