সন্তান কান্নাকাটি করার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ
![সন্তান কান্নাকাটি করার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ সন্তান কান্নাকাটি করার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ](https://www.bvnews24.com/media/imgAll/2024April/bvnews-24-Tangile-2406300758.jpg)
টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে জেমি আক্তার (২২) নামে এক অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে স্বামীর বিরুদ্ধে। শনিবার (২৯ জুন) সন্ধ্যা ৬ টার দিকে উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। নিহত জেমি উপজেলার দিঘড় ইউনিয়নের মানাজি গ্রামের প্রবাসী জামাল হোসেনের মেয়ে। এ ঘটনায় রোববার (৩০ জুন) সকালে মনিরকে পুলিশ হেফাজতে দেন স্থানীরা। মনির সন্ধানপুর ইউনিয়নের সন্ধানপুর গ্রামের সমর আলীর ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, মনির পেশায় একজন শ্রমিক। তাদের সোহান (০২) নামে একজন পুত্রসন্তানও রয়েছে। স্বামী—স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিককলহ আগে থেকেই ছিলো। গত শনিবার সন্ধায় গৃহবধূ রান্না করতে ছিলো। এ সময় ছেলে সোহান কান্নাকাটি করলে স্বামী মনির হোসেন গৃহবধূর তলপেটে লাথি, কিলঘুসি মারে ও গলায় চেপে ধরে। এসময় গৃহবধূ জেমি প্রসাব ও মলত্যাগ করে দেয়।
পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পরিবারের লোকজন প্রথমে জেমিকে ঘাটাইল উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে নিয়ে আসেন। অবস্থার অবনতি হলে তাকে টাঙ্গাইল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি কিরা হলে গত শনিবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে জেমি মারা যান।
নিহতের জেমির বড় বোন নাছিমা বলেন, চার বছর আগে পারিবারিকভাবে মনিরের সঙ্গে আমার বোনের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকেই আমার বোনকে নির্যাতন করতো। এর আগেও কয়েকবার গ্রামের মাতাব্বর নিয়ে শালিসকরে মিমাংশা করা হয়েছে। সে চার মাসের গর্ভবতী। জেমিকে প্রায় সময় বিভিন্ন অজুহাতে মারধর করতো মনির। আমার বোনকে হত্যার দৃষ্টান্তমূ্লক বিচার চাই।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য খোরশেদ আলম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনার পর এলাকাবাসী ঘাতক মনিরকে নিজ বাড়িতেই বেধে রেখেছিলো। পরে আমরা থানায় খবর দিয়ে মনিরকে পুলিশ হেফাজতে দিয়েছি।
ঘাটাইল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোহাম্মদ আবু ছালাম মিয়া জানান, অভিযুক্ত স্বামী মনিরকে গ্রেপ্তারের করা হয়েছে । মনিরের মাকেও আমাদের হেফাজতে আনা হয়েছে। এ ঘটনায় আইনি ব্যাবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: