“ধার্মিক” আবেদ আলী কুলি থেকে ড্রাইভার হয়ে কোটি টাকার মালিক (ভিডিও)
সম্প্রতি গণমাধ্যমের অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বিসিএসসহ ৩০টি নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁসের তথ্য। বিপিএসসির ছয় কর্মকর্তা–কর্মচারীর মধ্যে একজন পিএসসির চেয়ারম্যানের সাবেক গাড়িচালক সৈয়দ আবেদ আলী জীবন।
মাদারীপুর ডাসার উপজেলার আবেদ আলী ছোট বয়সেই রাজধানী ঢাকায় আসেন। এরপর কারওয়ান বাজারের ফুটপাতে ঘুমাতেন। করতেন কুলির কাজ। নিজ মুখেই স্বীকার করেছেন তার অতীত।
জীবন যাত্রার মান উন্নয়নে ড্রাইভিং শেখার পরে চাকরি নেন পিএসসির চেয়ারম্যানের গাড়িচালক হিসেবে। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ধীরে ধীরে নিজের স্বাস্থ্যের উন্নতির সাথে আর্থিক সম্পদেরও উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। প্রশ্ন ফাঁসের সঙ্গে জড়িত থাকার তথ্য সামনে আসার পরই সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর কোটি কোটি টাকার সম্পদের তথ্য তুলে ধরছেন নেটিজেনরা।
কুয়াকাটায় রয়েছে হোটেল সান মেরিনা নামে ফাইভস্টার হোটেলের মালিকানা। শোনা যাচ্ছে ঢাকায় তার ৭ এবং ১১ তলা দুইটি বহুতল ভবনসহ মাদারীপুরে রয়েছে আলিশান বাড়িও। গ্রামের বাড়ির মূল্য প্রায় ৩ কোটি টাকা। রিয়েল এস্টেট প্রতিষ্ঠান ইউএসএ রিয়েল স্টেট অ্যান্ড বিল্ডার্সের চেয়ারম্যানও তিনি।
চলনে বলনে সবসময়ই ধর্মভীরু সৈয়দ আবেদ আলী যাত্রাপথেও বাদ দিতেন না কোনো নামাজ। দান সদকায় ছিলেন অগ্রগামী। নিজ গ্রামে ৭১ শতক জমিতে মসজিদ এবং ঈদগাহ বানিয়ে কুড়িয়েছেন সুনাম। এছাড়া রাস্তা ঘাটে অসহায় মানুষকে সবসময় দান সদকা করতেন তিনি। যখনই মানুষের মুখে উঠলো আবেদ আলীর নাম, তখন ইচ্ছা জাগলো উপজেলা পরিষদ নির্বাচন করার। নিজের প্রভাব প্রতিপত্তি বোঝাতে পুলিশ প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে ছবি তুলে দিতেন ফেসবুকে।
ড্রাইভার থেকে কোটিপতি বনে যাওয়া আবেদ আলীর পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় আলোচিত হচ্ছেন তার ছেলে সৈয়দ সোহানুর রহমান সিয়ামও। ডাসার উপজেলা ছাত্রলীগের সহ–সভাপতি এবং ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের ত্রাণ ও দুর্যোগ বিষয়ক সম্পাদক সিয়াম মানুষকে সাহায্য করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সেই ভিডিও প্রচার করেন। চড়েন দামী গাড়িতে। পড়াশোনা করেছেন দেশের বাইরে। ফেসবুকে দুটি গাড়ির ছবি পাওয়া গেছে। যার বাজারমূল্য প্রায় ৭০ ও ৪০ লাখ টাকা।
তবে নেটিজেনরা প্রশ্ন করছেন- একজন গাড়িচালক কীভাবে এত সম্পদের মালিক হলেন?
বিভি/এনএম
মন্তব্য করুন: