সীমান্তবর্তী ইউনিয়নে কার্যালয়ে ঢুকে চেয়ারম্যানকে গুলি করে হত্যা

নঈমুদ্দিন সেন্টু
কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ০৩নং ফিলিপনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নঈমুদ্দিন সেন্টু (৫৮) দূর্বৃত্তদের গুলিতে নিহত হয়েছে। রবিবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদে নিজ কার্যালয়ের কর্মরত অবস্থায় ইউনিয়ন পরিষদের ওই কক্ষের বাহির থেকে জানালা দিয়ে নিজ আসনে বসা অবস্থায় পিছন দিক থেকে দুর্বৃত্তরা একাধিক গুলি ছুড়ে। এতে তিনি ঘটনাস্থলেই নিহত হন বলে নিশ্চিত করেছেন দৌলতপুর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মাহবুবুর রহমান।
তবে ঠিক কি কারণে এই হত্যাকাণ্ড সেবিষয়ে তৎক্ষণিক কিছু বলতে পারেনি পুলিশ। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট, ভাংচুর ও আগুন লাগিয়ে দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে কাজ করছে পুলিশ।
সকালে অন্য দিনের মতো বাড়ি থেকে সামান্য দূরে অবস্থিত ফিলিপনগর ইউনিয়ন পরিষদে যান চেয়ারম্যান নঈম উদ্দিন সেনটু। পরে তিনি নিজ কার্যালয়ে বসে দাপ্তরিক কাজকর্ম করছিলেন। এ সময় ইউনিয়ন পরিষদের কয়েকজন গ্রাম পুলিশ এবং দুইজন ইউপি সদস্য উপস্থিত ছিলেন। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চেয়ারম্যানের কার্যালয়ের পেছনের জানালা দিয়ে চার পাঁচ রাউন্ড গুলি চালায় অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। এতে নিজ কার্যালয়েই মারা যান চেয়ারম্যান সেন্টু।
পরিবারের সদস্যরা বলছেন এলাকায় চেয়ারম্যানের কারো সাথে শত্রুতা ছিল না। তবে সরকার পতনের পর স্থানীয় একটি পক্ষ চেয়ারম্যানকে হুমকি দিয়ে আসছিল।
এদিকে, চেয়ারম্যানের মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে উত্তেজিত এলাকাবাসীর বেশ কয়েকটি বাড়িতে লুটপাট ও আগুন লাগিয়ে দেয়। গণমাধ্যম কর্মীরা ছবি ধরতে গেলে তাদের উপর চড়াও হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: