আশুলিয়া
জীবিত মানুষকে মৃত বলে হত্যা মামলায় তোলপাড়

ছবি: মোঃ আলামিন
আশুলিয়ায় বেওয়ারিশ লাশের মৃত্যুর সনদ ব্যবহার করে জীবিত মানুষকে মৃত বলে হত্যা মামলা করার ঘটনায় চলছে তোলপাড়। মামলা করার সপ্তাহ না পেরুতেই জীবিত সেই যুবককে ধরে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। তবে মামলার বাদী এখনো পলাতক।
পাঁচ আগষ্টকে ঘিরে আশুলিয়াতে বেড়েই চলেছে হয়রানি মূলক মামলার সংখ্যা। এসব মামলা নিয়ে একের পর এক বেরিয়ে আসছে চাঞ্চল্যকর তথ্য। এবার ঘটেছে দেশ তোলপাড় করা এমনই এক ঘটনা। অজ্ঞাত ব্যক্তির মৃত্যু সনদ ব্যবহার করে পাচঁ আগষ্ট বিজয় মিছিলে স্বামী আলামিন গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছে বলে দাবি করে কুলসুম বেগম নামের এক নারী।
২৪ অক্টোবর কুলসুম বেগম শেখ হাসিনাকে প্রধান করে সাবেক সংসদ সদস্য ডা. এনামুর রহমানসহ ১৩০ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে।
মামলায় বাদ যায়নি সাধারণ মানুষসহ মসজিদের ইমামের নামও। এ নিয়ে এলাকায় তোলপাড় শুরু হলে বাদির সন্ধানে নামে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি মামলার আসামিরাও। কয়েকদিনের চেষ্টায় সিলেট থেকে ধরে আনা হয় সেই ভিকটিম আলামিনকে। পুলিশের কাছে এসে আলামিন এসবের কিছুই জানে না বলে জানায়।
একটি স্বনাম ধন্য হাসপাতালের মৃত্যু সনদ কীভাবে পেল এই চক্রটি তা জানতে চাইলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ এ ব্যাপারে কিছুই জানে না বলে জানায়।
তবে ৫ আগষ্ট গুলিবিদ্ধ অবস্থায় একটি লাশ হাসপাতালে পাওয়ার পর তার পরিচয় না পেয়ে ৭ আগষ্ট বেওয়ারিশ হিসেবে আশুলিয়ার দরগারপার কবরস্থানে দাফন করা হয় ।
এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত রুহুল কিংবা কুলসুম কাউকেই ধরতে পারেনি পুলিশ। যাদের ইন্ধনে এমন হয়রানিমূলক মামলা হচ্ছে সেই মূলহোতাদের দ্রুত আইনের আওতায় আনার জোর দাবি এলাকাবাসীর।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: