• NEWS PORTAL

  • বৃহস্পতিবার, ২৪ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

শিক্ষক দম্পতি হত্যা: মামলার বাদিকে হেনস্থার অভিযোগ

পটুয়াখালী প্রতিনিধি

প্রকাশিত: ১৯:৪২, ২৫ নভেম্বর ২০২৪

ফন্ট সাইজ
শিক্ষক দম্পতি হত্যা: মামলার বাদিকে হেনস্থার অভিযোগ

পটুয়াখালীর বহালগাছিয়ায় শিক্ষক দম্পতি হত্যাকান্ডের মূল রহস্য উদঘাটনের দাবি এবং পুলিশ কর্তৃক মামলার বাদিকে হেনেস্থার প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন ভুক্তভোগী পরিবার।

সোমবার (২৫নভেম্বর) পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠের মাধ্যমে সাংবাদিকদের কাছে বিভিন্ন অভিযোগ তুলে ধরেন নিহত দম্পতির সন্তান ও মামলার বাদি আবুল বাশার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ। 

তার অভিযোগ, এ হত্যা মামলায় ২ আসামিকে গ্রেফতার করা হলেও সঠিক তদন্ত এবং তাদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে মূল রহস্য উদঘাটন করা হয়নি। গ্রেফতারের পর অনেকটা তড়িঘড়ি করে আসামিদের আদালতে সোপর্দ করা, বাদীর সাথে পুলিশের দুর্ব্যবহার এবং রিমান্ড না চাওয়ায় সঠিক বিচার পাওয়ার ব্যাপারে তারা শংকা প্রকাশ করেছেন। 

তিনি আরো বলেন, বাবা মায়ের নৃশংস হত্যাকান্ডের পর গত ৩১ শে অক্টোবর সকালে আমাদের বাড়ীতে সাইফুল নামে এক দুষ্কৃতকারী চুরি করতে আসলে গ্রামবাসীর সহায়তায় তাকে পুলিশে ধরিয়ে দেই। 

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে অপর এক আসামি গ্রেফতার হয়। কিন্তু সাইফুল ১নভেম্বর সকালে ডিবি হেফাজত থেকে পালিয়ে যায়। ১১ নভেম্বর ডিবি পুলিশ পলাতক সাইফুলকে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে আবার গ্রেফতার করে। সে ব্যাপারে আমরা সহায়তা করি। এরপর ১২ নভেম্বর দুপুরে ডিবি অফিসে মামলা সংক্রান্ত বিষয়ে আলোচনা করার জন্য তদন্তকারী কর্মকর্তার কাছে গিয়ে তাকে না পেয়ে পাশের খোলা রুমে ঢুকে পড়লে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহামাদ মইনুল হাসান আমার পরিচয় জানতে চান। আমি মামলার বাদী হিসেবে পরিচয় দিলে তিনি আমাকে অপমান করে রুম থেকে বের করে দেন। পরক্ষনেই ডিবি অফিসের এস আই মহসিনের অযৌক্তিক আক্রমনাত্মক আচারনের শিকার হই। 

তিনি আরও বলেন, পরবর্তীতে আমি মামলার বিষয়ে পুলিশের সাথে যোগাযোগের ব্যাপারে নিরাপত্তা হিনতায় ভুগতে থাকি। আমার মনেহয় আমার বাবা মায়ের হত্যাকান্ডটি পরিকল্পিত। ভাড়াটে লোক দিয়ে এ হত্যাকান্ড ঘটানো হয়েছে যা সঠিক তদন্তে বেড়িয়ে আসবে। কারন আসামিদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী আনুমানিক রাত সাড়ে আটটা চুরি করার জন্য যৌক্তিক সময় হতে পারে না, শুধু চুরি করতে গিয়ে দুজন বুড়ো লোককে হত্যা করতে পারে বলে যৌক্তিক মনে হয় না, আবার আসামিরা চুরি করার কথা বললে ও কোন কিছুই চুরি করে নিয়ে যায়নি। 

এতো অল্প সময়ে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামিরা হত্যাকান্ডের সকল তথ্য দিয়েছে বলে আমি মনে করি না। সঠিক তদন্ত হলে এর মূল রহস্য বেড়িয়ে আসবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পটুয়াখালী জেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আনোয়ার হোসেন, নিহত দম্পতির মেয়ে ফেরদৌসী বেগম ও মেহেরুন্নেছা মনি।

এদিকে বাঁদিকে হেনস্থার বিষয়টি অস্বীকার করে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আহামাদ মাইনুল হাসান জানান, আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের সময় তিনি সেই কক্ষে ঢুকে পড়ায় তার পরিচয় জানতে চাইলে তিনি মামলার বাদি পরিচয় দেন। মামলার বাদীর সামনে আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদ করা সমিচীন নয় তাই তাকে অন্য রুমে বসতে অনুরোধ করা হয়। এছাড়া এস আই মহসিনের সঙ্গে তার কি হয়েছে সে বিষয়ে কোন মন্তব্য করেননি অতিরিক্ত পুলিশ সুপার।

বিভি/এজেড

মন্তব্য করুন: