ইতালী নেয়ার কথা বলে অর্ধশতাধিক যুবককে মাফিয়াদের কাছে বিক্রি!

নিঁখোজ বন্দিদের তিনজন
মাদারীপুরের রাজৈর উপজেলার মজুমদারকান্দির রুমান হাওলাদার। গত এক বছর আগে ভাগ্য বদলের আসায় ১২লাখ টাকায় স্পন্সর ভিসায় ইটালি যাওয়ার চুক্তি হয় মানবপাচারকারী দালাল খালেদার সাথে। এরপর লিবিয়া নিয়ে বিক্রি করে দেয় মাফিয়ার কাছে। পরে আরো ২০ লাখ টাকার জন্য চালানো হয় অমানবিক নির্যাতন। ১৭ লক্ষ টাকাসহ বসত ঘরটুকু লিখে দিয়েও পাননি মুক্তি। বর্তমানের পরিবারের সাথে যোগাযোগ নেই। বেচে আছে নাকি মারা গেছে তাও জানে না পরিবারের লোকজন।
একই গ্রামের ইমরান আলী শেখ প্রায় ১৫ মাস আগে স্পন্সর ভিসায় ইটালি যাওয়ার জন্য বাড়ি ছাড়ে। টাকার জন্য শিকার হতে হয় অমানবিক নির্যাতন। ছেলেকে জীবিত উদ্ধারের আশায় দালাল চক্রকে দিয়েছেন ৪৫ লক্ষ টাকা। এদিকে উমারখালী গ্রামে জিহাদ ফকির একই দালালের কাছে জিম্মি দশায় গুনতে হয়েছে ৩০ লাখ টাকাও। কিন্তু তারও কোন সন্ধান নেই। শুধু রুমান হাওলাদার, ইমরান আলী শেখ, আর জিহাদ ফকির নয়। অবৈধপথে ইতালি যাবার সময় লিবিয়ার মাফিয়াদের হাতে জিম্মি মাদারীপুরের আমগ্রাম এলাকার অর্ধশত যুবক।
এ ঘটনায় মানবপাচার আইনে তিন পরিবার মামলা করেও পাচ্ছেনা কোন সমাধান। নির্যাতন করে দালালরা হাতিয়ে নিচ্ছে কোটি কোটি টাকা। ভিটেমাটি বিক্রি করে টাকা দিয়েও মিলছে না মুক্তি। তারা মুক্তির আকুতি জানিয়েন স্বজনরা।
দ্রুত এ সকল দালালদের আইনের আওতায় এনে শান্তি দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী ও সচেতন মহল। স্বপ্ন ছোয়ার আশায় অনেকেই পাড়ি জমাচ্ছে ইউরোপের বিভিন্ন দেশে। তবে তাদের বেশিরভাগের স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়। মাদারীপুরে অর্ধশতাধিক যুবকে স্পন্সর ভিসায় ইতালি নেওয়ার কথা বলে লিবিয়ায় নিয়ে মাফিয়ার কাছে বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে রাজৈরের খালেদা আক্তার নামে এক দালালের বিরুদ্ধে। আর এ সকল পরিবারের কাছ থেকে মুক্তিপণ হিসেবে হাতিয়ে নিয়েছেন কয়েক কোটি টাকা। এমন কি মুক্তিপনের টাকা দিতে না পারায় দলিল করে নিয়েছে বসত ভিটাও।
অভিযুক্ত খালেদা আক্তার এখন ধরাছোয়া বাইরে। এদিকে, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, মাদারীপুর ভাস্কর সাহা, বলছেন দ্রুত দালালদের বিরুদ্ধে নেয়া হবে আইনগত ব্যবস্থা। দূতাবাসের মাধ্যমে যুবকদের ফিরিয়ে আনার ব্যবস্থাও নেয়া হবে।
মন্তব্য করুন: