পার্ট টাইম চুরি করা মশিউরের টার্গেট নামী-দামী বাইক! (ভিডিও)
ভবঘুরে বেশে বিভ্ন্নি অফিস ও মার্কেট এলাকায় বিচরণ তাদের। টার্গেট, নামী-দামী বাইক চুরি। বাইকার বাইক রেখে চোখের আড়াল হতেই মাত্র তিন থেকে চার সেকেন্ডেই লাপাত্তা হয়ে যায় শখের বাইকটি। গার্ড লক ভেঙে মাস্টার চাবি দিয়ে মুহুর্তেই বাইক নিয়ে হাওয়া হয়ে যায় চোর চক্র।
স্বাভাবিক ভঙ্গিতে বাইক চালিয়ে নিয়ে যাওয়ায় কখনও কখনও গেইটে থাকা দারোয়ানরাও বুঝতে পারেন না বাইকটি কে চালাচ্ছে।
সম্প্রতি ১০টি বাইকসহ এই চোর চক্রের প্রধান মশিউর রহমান ওরফে মিশু (৩২) এবং তার সহযোগী রনি দালাল (৩১) ও নাজিম শেখকে (৩৫) গ্রেফতার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগ। তিন থেকে পাঁচ লাখ টাকা মূল্যের এসব বাইক মাত্র ২৫ থেকে ৩০ হাজার টাকায় বিক্রি করেছিলো চক্রটি।
গোয়েন্দা পুলিশ বলছে, বাইকারদের উদাসীনতাকে কাজে লাগায় এই সংঘবদ্ধ চোরচক্র। সামান্য একটু সচেতনতায় এই ধরনের চুরি ঠেকানো সম্ভব বলে মনে করেন তারা।
আরও পড়ুন:
মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার মশিউর রহমান বাংলাভিশন ডিজিটালকে বলেন, এরা মাত্র তিন থেকে চার সেকেন্ডে একজন বাইকারের শখের বাইকটি চোখের পলকেই চুরি করে নিয়ে যায়। কিন্তু চার থেকে পাঁচ লাখ টাকার একটা বাইক তারা বিক্রি করে ২৫-৩০ হাজার টাকায়। তাদের প্রধান টার্গেট, যেসব বাইক দেখতে নামী-দামী এবং যেসব বাইকের শুধুমাত্র গার্ড লক থাকে সেগুলো চুরি করা। তারা হাইড্রোলোলিক তালা থাকলে সেগুলো চুরি করতে পারে না।
তিনি বলেন, বাইক চুরিতে বাইকারদের উদাসিনতা অনেকাংশে দায়ী। কারণ অনেকে মনে করেন, শুধুমাত্র গার্ড লক করলেই হয়ে গেছে। আর এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে পছন্দের বাইকটি চুরি করে চক্রটি।
গোয়েন্দা পুলিশের এমন তৎপরতাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
মো. মহসিন হাওলাদার নামের এক ভুক্তভোগী বলেন, আমি বছর খানেক আগে গুলশানে একটি বিয়ে বাড়ির দাওয়াতে গিয়েছিলাম। সেখানে আমার বাইকটি চুরি হয়। পরে থানায় জিডি করি। কিন্তু অনেক দিন হয়ে গেলেও বাইকটি না পেয়ে আশা ছেড়ে দিয়েছিলাম। কিন্তু গুলশান ডিবি কর্মকর্তারা ফোন দিয়ে জানালেন আমার বাইকটি উদ্ধার হয়েছে। এতে আমি ভীষণ খুশি।
তবে গোয়েন্দা প্রধান বলছেন, এই ধরনের চোরচক্র নির্মূল করতে রাজধানীতে যেসব ঝুঁকির্পূণ এলাকায় চুরি হয় সেখানে শিগগিরই আরও সিসি ক্যামেরা বসানো হবে।
ডিএমপি’র অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (গোয়েন্দা), এ কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, রাজধানীর যেসব স্থানে চুরি ছিনতাইয়ের ঝুঁকি বেশি সেসব স্থানে আমরা সিসিটিভি স্থাপন করবো। যাতে একবার গ্রেফতার হয়ে আবারও একই কাজ করার সাহস না পায়।
শখের বাইকটির চুরি ঠেকাতে তালা ব্যবহার এবং সিসি ক্যামেরা রয়েছে এমন স্থানে পার্কিং করার পরামর্শ এই গোয়েন্দা প্রধানের।
বিভি/এসএইচ/এএন
মন্তব্য করুন: