মামলা করতে আসা বিধবার সঙ্গে প্রেম ও ধর্ষণ, কারাগারে এসআই

প্রতীকী ছবি
জমি নিয়ে ঝামেলা হওয়ায় মামলা করতে থানায় গিয়েছিলেন এক বিধবা। পরে সেই মামলার তদন্ত করতে গিয়ে তার সঙ্গে খাতির জমিয়ে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন ওই থানার উপপরিদর্শক (এসআই)। এখানেই থেমে থাকেননি। প্রেমের সম্পর্ককে নিয়ে গেছেন শারিরীক সম্পর্কে। কিন্তু এখন তিনি ধর্ষণ মামলায় আছেন কারাগারে।
মূলত প্রেমের সম্পর্কের পর বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করেছেন ওই নারী। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্চগড় সদর থানায়। ওই বিধবার দায়ের করা মামলায় বর্তমান কুড়িগ্রাম সদর থানার এসআই আব্দুল জলিলকে হাজতে পাঠিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২০ মার্চ) দুপুরে এসআই জলিল পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে আত্মসমর্পন করে স্থায়ী জামিনের আবেদন করলে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালের বিচারক জেলা ও দায়রা জজ মেহেদী হাসান তালুকদার তাকে কারাগারে প্রেরণ করেন।
গত ২৩ জানুয়ারি এসআই জলিলের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন আদালত। পরে তিনি উচ্চ আদালতের রায়ে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। গত কয়েকদিন আগে তার জামিনের মেয়াদ শেষ হলে তিনি পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুনালে হাজির হলে আদালত তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২০ সালের ৩০ এপ্রিল পঞ্চগড় সদর থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ওই নারী। সেই ডায়েরির তদন্ত করতে গিয়ে তৎকালীন পঞ্চগড় সদর থানার উপ-পরিদর্শক আব্দুল জলিল বিধবা ওই নারীর সঙ্গে ‘প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এরপর তিনি ভুয়া কাবিননামা করিয়ে নিয়ে ওই নারীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একসময় বিবাহের কাবিননামা চাইতে গেলে জলিল বিবাহের কথা অস্বীকার করেন। পরে ভুক্তভোগী নারী ২০২০ সালের ৬ অক্টোবর পঞ্চগড় নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল আদালতে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: