মহিলা মেম্বারকে ধর্ষণের পর হত্যা করে জানাজা ও দাফনে অংশ নেয় লতিফ

গত বছরের ১৮ সেপ্টেম্বর বগুড়ার একটি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য নিখোঁজ হন। এ ঘটনার তিন দিন পর উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়নের কুড়িগাঁতী গ্রামের একটি ইটভাটার পাশে গলায় ওড়না প্যাঁচানো অবস্থায় সেই নারী সদস্যের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করা হয়। ওই ঘটনায় নিহতের ভাই বাদী হয়ে বগুড়ার ধুনট থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলার ক্লু উদঘাটন করেছে র্যাব। ওই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আটককৃত আবদুল লতিফ শেখ (৬০) অপরাধের কথা স্বীকার করেছে। ওই নারীকে হত্যার পর লতিফ শেখ ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখে বলে জানিয়েছে র্যাব।
শুক্রবার (২৫ মার্চ) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
খন্দকার আল মঈন জানান, সেদিন কৌশলে ওই নারীকে একটি ইটভাটার পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে যান লতিফ। সেখানে কৌশলে চেতনানাশক প্রয়োগের পর তাকে ধর্ষণ করেন। ঘটনা জানাজানি হওয়ার ভয়ে গলায় ওড়না প্যাঁচিয়ে ওই নারীকে হত্যা করে মরদেহ সেখানেই ফেলে যান।
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। নিজেকে সন্দেহের বাইরে রাখতে পরে লতিফ স্থানীয়দের সঙ্গে মিলে জনপ্রতিনিধিকে খোঁজাখুঁজি করার ভান করেন। মরদেহ উদ্ধারের পর তিনি জানাজা ও দাফনেও অংশ নেন এবং ভিকটিমের পরিবারের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখেন। পরে তিনি এলাকা ছাড়েন।
এ ঘটনায় করা হত্যা মামলায় ইউপি সদস্যের স্বামীসহ দুজনকে সন্দেহভাজন হিসেবে গ্রেপ্তার করা হয়। তবে লতিফ শেখ একাই ওই হত্যাকাণ্ডে জড়িত ছিলেন বলে জানিয়েছে র্যাব।
লতিফের বিরুদ্ধে ২০০৯ সালে বগুড়ায় একটি ধর্ষণ মামলা হয়েছিল। সেই মামলায় তিনি সাত মাস কারাভোগ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, র্যাবের পক্ষ থেকে হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের আইনের আওতায় নিয়ে আসতে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়।
গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২৪ মার্চ) র্যাব-১২ অভিযান চালিয়ে মুন্সীগঞ্জ থেকে অভিযুক্ত আব্দুল লতিফ শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লতিফ শেখ স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
বিভি/এজেড
মন্তব্য করুন: