শরীয়তপুরে শিক্ষককে লাথি মারলেন ছাত্রলীগ সভাপতি!

শরীয়তপুর সরকারী কলেজ (বর্তমান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ)
দাওয়াত না দেয়ায় শিক্ষককে লাথি মারার অভিযোগ ওঠেছে শরীয়তপুর সরকারী কলেজের (বর্তমান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ) ছাত্রলীগের সভাপতির বিরুদ্ধে। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষকের কাছে মাফ চাওয়ার মধ্যদিয়ে ঘটনাটির সুরাহা হয়েছে বলেও অভিযোগ ওঠেছে। তবে, বিষয়টি নিয়ে সাধারণ শিক্ষকদের মধ্যে চরম ক্ষোভ বিরাজ করছে।
বুধবার (৩০ মার্চ) দুপুরে শরীয়তপুর সরকারী কলেজের (বর্তমান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলেজ) বাংলা বিভাগে এ ঘটনা ঘটেছে বলে অভিযোগ ওঠেছে।
জানা যায়, বাংলা বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ভাইভা ছিল বুধবার। এসময়, এক্সটার্নালদের আগমন উপলক্ষে তাদের আপ্যায়নের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। এতে ছাত্রলীগের কলেজ শাখার সভাপতি সোহাগ ব্যাপারী ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল জমাদ্দারকে দাওয়াত না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে দলবল নিয়ে বাংলা বিভাগে হাজির হয় তারা। সেই সঙ্গে বিভাগীয় প্রধানকে গালাগাল করতে থাকে। একপর্যায়ে একই বিভাগের শিক্ষক বিএম সোহেল সেখানে প্রতিবাদ করলে তাকে সবার সামনেই লাথি-কিল-ঘুষি মারেন বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শিক্ষক বিএম সোহেল। পরে বিষয়টি প্রিন্সিপাল এবং ভাইস প্রিন্সিপালকে জানান। অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ ব্যাপারী এবং রাসেল জামাদ্দারকে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষক সোহেলের কাছে কাছে ক্ষমা চাওয়ার মধ্য দিয়ে বিষয়টি সুরাহা হয় বলে জানা যায়।
ভুক্তভোগী শিক্ষক সোহেল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বাংলাভিশনকে বলেন, “আমি অসহায় একজন শিক্ষক, মার খেয়েছি। ছাত্র আমাকে মেরেছে, স্যারদের জানিয়েছি কোন বিচার পাইনি, আর কার কাছ বিচার দিবো? বিচার পাবোনা জানি।” তবে, তার নিরাপত্তা নিয়েও শঙ্কিত বলেও জানান তিনি।
এদিকে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেছেন কলেজের ভাইস প্রিন্সিপাল প্রফেসর মিজানুর রহমান। সেই সাথে ঘটনাটিকে অত্যন্ত গর্হিত উল্লেখ করে তিনি বাংলাভিশনকে বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের জন্য অত্যান্ত লজ্জাজনক, আমরা উভয়পক্ষকেই ডেকে শিক্ষকের কাছে মাফ চাওয়ার ব্যবস্থা করেছি।’ তবে আগামীকাল শিক্ষক পরিষদের মিটিংয়ে এ বিষয়ে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষক লাঞ্চনার বিষয়টি অস্বীকার করে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ সভাপতি সোহাগ ব্যাপারী বলেন, রাজনৈতিক কারণে তাদের ওপর এ ধরনের মিথ্যা অভিযোগ করা হচ্ছে। এমন কোন ঘটনাই ঘটেনি বলেও মন্তব্য করেন ছাত্রলীগের অভিযুক্ত এই সভাপতি সোহাগ ব্যাপারী।
বিভি/এসএম/এইচএস
মন্তব্য করুন: