মোবাইল নিয়ে কলহ, স্ত্রীকে খুন করে লাশ হাসপাতালে রেখে উধাও স্বামী

পারিবারিক কলহ নিয়ে মাদারীপুরের শিবচরে স্বামীর ধারালো অস্ত্রের আঘাতে ২ সন্তানের জননী খুন হয়েছেন। খুনের পর স্ত্রীর লাশ হাসপাতালে রেখে খুনি স্বামী ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়েছে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, জেলার শিবচর উপজেলার শিবচর ইউনিয়নের চরশ্যামাইল গ্রামের খালেক তালুকদারের ছেলে অটো চালক রাজ্জাক তালুকদার ও তার ২য় স্ত্রী আয়শা আক্তারের (৩০) মাঝে দৈনন্দিন পারিবারিক কলহ ও ঝগড়া হতো। সোমবার (৪ এপ্রিল) সন্ধ্যায় নিজ বাড়িতে রাজ্জাকের সাথে স্ত্রী আয়শার মোবাইলে কথা বলা ও  পারিবারিক বিষয় নিয়ে কথাকাটাকাটি হয়।

কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে স্বামী রাজ্জাক তালুকদার ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর পেটে ও নাকে আঘাত করে। এতে ঘটনাস্থলেই আয়শার মৃত্যু হয়। ঘরে চেচাঁমেচির শব্দ পেয়ে প্রতিবেশীরা এগিয়ে এসে আয়শাকে নিথর অবস্থায় ঘরের মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখে হাসপাতালে নেয়ার কথা বললে রাজ্জাক ও তার পরিবারের সদস্যরা আয়শাকে নিজের ইজিবাইকে করে শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। হাসপাতালের জরুরী বিভাগে আয়শাকে রেখে এ সময় রাজ্জাক ও তার পরিবারের সদস্যরা পালিয়ে যায়। 

খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে হাসপাতাল থেকে নিহত আয়শার লাশ থানা হেফাজতে নিয়েছে। নিহত আয়শা বরিশালের আ: মান্নানের মেয়ে।  শাওন ও সিনথিয়া নামে দুটি সন্তান রয়েছে আয়শার। 

ঘটনাস্থলে উপস্থিত শিবচর থানার এসআই সিদ্ধার্থ কুমার বলেন, নিহতের শরীরে দুটি আঘাতের চিহৃ রয়েছে। ঘাতকে ধরতে পুলিশের একাধিক টিম মাঠে কাজ করছে।

শিবচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডাঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, হাসপাতালে আনার আগেই ওই নারীর মৃত্যু হয়েছে। তার পেটে ও নাকের উপরে ধারালো অস্ত্রের আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। অধিক রক্তক্ষরণেই তার মৃত্যু হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।