ভাড়াটে খুনি থেকে কয়েকশ কোটি টাকার মালিক আশিষ চৌধুরী

চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামি আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী এক সময় ছিলেন ভাড়াটে খুনি। বিতর্কিত ব্যবসায়ী আজিজ মোহাম্মদ ভাই’য়ের সান্নিধ্য পেয়ে আষিশ রায় চৌধুরীর কপাল খুলে যায়। কয়েক বছরের ব্যবধানে মালিক বনে যায় কয়েকশো কোটি টাকার।
১৯৯৮ সালেরে ডিসেম্বরে চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার পর কয়েক বছরের জন্য কানাডায় আত্মগোপনে চলে যায় সে। একটি গোয়েন্দা সংস্থার তথ্য বলছে, এই আশিষ কানাডায় আত্মগোপনে থাকাকালে সুকৌশলে নিজের পরিবারকেও সেখানে নিয়ে যান এবং সেখানে নাগরিকত্ব নেয়। এরপর থেকে তার ভাগ্যেরে চাকা ঘুরে যায়। এক সময় সোহেল চৌধুরীর মামলা তদন্তে কিছুটা ভাটা পড়লে আবার দেশে ফিরে আসেন। তথ্য বলছে, ২০০৪ সালে নায়ক সোহেল চৌধুরীর মামলায় বিচারকাজ স্থগিতাদেশ দেওয়া হলে ২০০৫ সালে দেশে ফেরে আশিষ। এরপর রাজধানীর গুলশান-বনানীতে গড়ে তোলে নারী ও মাদকের সাম্রাজ্য। আর তার এই সাম্রাজ্যে নিয়মিত যাতায়াত ছিলো গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের। ক্ষমতাবানদের সৈজন্যে নিয়মিত নারী আর মাদকের আসর জমিয়ে দিতো বোতল চৌধুরী। যেকারণে হত্যা মামলার অন্যতম আসামি হয়েও সে একটি স্বনামধন্য প্রতিষ্ঠানের নির্বাহী পরিচালক হয়ে যান।
র্র্যাবের গোয়েন্দা সূত্র জানায়, আশিষ চৌধুরী ২০০৫ সালে কানাডা থেকে দেশে ফিরে সুকৌশলে দেশের মিডিয়ার বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকে হাত করেন। তাদের সহায়তায় এমপি-মন্ত্রীদের স্নেহ পেতে থাকেন। আর এভাবেই ভাড়াটে খুনি বোতল চৌধুরী হয়ে যান রিজেন্ট এয়ারওয়েজের চিফ অপারেটিং অফিসার (সিওও)। কর্মের সুবাধে বিমান বন্দরে ছিলো অবাধ যাতায়াত। এই জন্য পুলিশের স্পেশাল ব্রাঞ্চের পাসও ছিলো এই বোতলে চৌধুরীর।
র্যাব আরও জানান, কয়েকজন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন ভিআইপিদের সঙ্গে নিয়মিত দেখা যেতো তাকে। তাদের সঙ্গে ছবিও আছে এই বোতল চৌধুরীর।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: