আশিষ রায় চৌধুরী যেভাবে বোতল চৌধুরী

আশিষ রায় চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরী
১৯৯৫ থেকে গুলশান-বনানী এলাকায় ভাড়াটে খুনি হিসেবে আন্ডারওয়ার্ল্ডে যুক্ত হয় আশিষ রায় চৌধুরী। কথিত রয়েছে আজিজ মোহাম্মদ ভাইয়ের ছত্রছায়ায় ওই এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করেছিলো আশিষসহ তার সাঙ্গপাঙ্গরা। ১৯৯৮ সালের ১৮ ডিসেম্বর বনানীর ট্রাম্পস ক্লাবে নায়ক সোহেল চৌধুরীকে গুলি করে হত্যার পর কয়েক বছর আত্মগোপনে থেকে আবার সক্রিয় হয়ে উঠে আশিষ চৌধুরী।
তবে তখন লেবাস বদলিয়ে খুনি থেকে হয়ে যান নারী ও মাদক সাম্রাজ্যের গুরু। তখন থেকে ভিআইপিরা তার কাছে দেশি-বিদেশী ব্র্যান্ডেড মদ আর নারী চাইলেই পেয়ে যেতো। তাও আবার বিনা পয়সায়। এতে তার সম-বয়সীরা ঠাট্টার চলে তাকে বোতল নামে ডাকতো। এই থেকে আশিষ চৌধুরী হয়ে যায় বোতল চৌধুরী।
আরও পড়ুন:
- মোবাইল নিয়ে কলহ, স্ত্রীকে খুন করে লাশ হাসপাতালে রেখে উধাও স্বামী
- ২৪ বছর পর চিত্রনায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যার আসামী আশীষ গ্রেপ্তার
উল্লেখ্য, নায়ক সোহেল চৌধুরী হত্যা মামলায় ওয়ারেন্টভুক্ত আসামি আশিষ চৌধুরী ওরফে বোতল চৌধুরীকে ৪ এপ্রিল রাতে রাজধানীর গুলশানের ২৫/বি ফিরোজা গার্ডেন নামে একটি বাসা থেকে তাকে গ্রফতার করে করা হয়। এসময় বাসায় বিপুল পরিমাণ দেশি-বিদেশি মদের বোতল পাওয়া গেছে। এসব মদ বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করে আশিষ মিনি বার গড়ে তুলেছিলেন সেই বাসাতেই। তার এই মিনি বার থেকে প্রায় ২৩টি দেশি-বিদেশি নানা ব্র্যান্ডের মদের বোতল জব্দ করা হয়। ওই বাসার মিনি বারে বন্ধু-বান্ধবদের নিয়ে নিয়মিত মদের আসর বসাতেন আশিষ। এছাড়া তার মিনি বারে সিসা সেবনের নানা উপকরণও পাওয়া গেছে। এসময় অনৈতিক কাজে সঙ্গ দেওয়া দু’জন নারীকেও আটক করেছে র্যাব।
এসব বিষয়ে র্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন বলেন, গত ২৮ মার্চ তার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট জারি হয়। সেই ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে গোয়েন্দা নজরদারির মাধ্যমে এই বাসাটিতে অভিযান চালানো হয়। এসময় তাকেসহ দুই নারীকেও গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন:
বিভি/এসএইচ
মন্তব্য করুন: