ঈদের দিন গাছের সঙ্গে বেঁধে গৃহবধূকে নি র্যা ত ন

গরুর গোয়ালে পা বাঁধা শেফালী বেগম
ঈদের দিন পূর্ব শত্রুতার জেরে গরু গোয়ালে গাছের সঙ্গে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার (৩ মে) বিকেলে সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার ভদ্রঘাট ইউনিয়নের চৈরগাঁতী পূর্বপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
সরেজমিনে ও তথ্যানসন্ধানে জানা যায়, চৈরগাঁতী পূর্বগ্রামের নজরুল ইসলাম (৪৫) এর সঙ্গে একই গ্রামের মো. শামসুল আলম-এর সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিলো। বিরোধের জের ধরে গত ২ মে সোমবার শামছুল আলমের ছেলে মো. নাসির উদ্দিন (২১) কে মারধর করে নজরুল ইসলাম। তারই ধারাবাহিকতায় মঙ্গলবার বিকেল পৌনে পাঁচটার দিকে পূর্বপরিকল্পিতভাবে নজরুল ইসলাম (৪৫), হাফিজুল সেখ (৩৮), মাহমুদুল সেখ (৩৫), রাশিদুল সেখ(৩০), হাফিজুল এর ছেলে মেরাজ সেখ (১৮), নজরুল ইসলাম এর স্ত্রী হাফিজা বেগম (৩৫), হাফিজুল এর স্ত্রী শাহানাজ বেগম (৩০), মাহমুদুল এর স্ত্রী তাসলিমা বেগম (২৮) ও রাশিদুল সেখ এর স্ত্রী তানিয়া বেগম (২৬) সংঘবদ্ধ হয়ে শামছুল আলম (৬০), নাজমা বেগম (৫০), শেফালী বেগম (২৭) ও নাসির (২১) কে বেধরক মারপিট করে।
একপর্যায়ে শেফালী বেগম (২৭) কে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে গরুর গোয়াল সংলগ্ন নারকেল গাছের সঙ্গে পা বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতন চালায়।
পরে ভুক্তভোগী পরিবার ৯৯৯ ফোনে দিলে ঘটনাস্থল থেকে কামারখন্দ পুলিশ শেফালী বেগমকে উদ্ধার করে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করেছে।
কামারখন্দ থানার ওসি মো. হাবিবুল্লাহ ঘটনা সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ৯৯৯ ফোন পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে শেফালীকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেছি। আসামীদের গ্রেফতারের জন্য চেষ্টা অব্যাহত আছে।
বিভি/এইচআর/এইচএস
মন্তব্য করুন: