নর্থ সাউথের চেয়ারম্যান ও ৪ সদস্যের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুদক

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অফ ট্রাস্টিজ-এর চেয়ারম্যান ও চার সদস্য এবং আশালয় হাউজিং এন্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের এমডিসহ মোট ছয়জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার (৫ মে) অনুসন্ধানকারী ও এজাহারকারী কর্মকর্তা উপপরিচালক (বি: অনু: ও তদন্ত-২) মাে. ফরিদ আহমেদ পাটোয়ারী বাদি হয়ে মামলাটি এই মামলা দায়ের করেন। দুদক সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০১০ অনুযায়ী বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয় অর্থাৎ নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলেন বাের্ড অব ট্রাস্টিজ। উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মেমােরেন্ডাম অব অ্যাসােসিয়েশন এন্ড আর্টিকেলস (রুলস এন্ড রেগুলেশনস) অনুযায়ী উক্ত বিশ্ববিদ্যালয় একটি দাতব্য, কল্যাণমূখী, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট, বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন, শিক্ষা মন্ত্রণালয় অর্থাৎ সরকারের সুপারিশ/অনুমােদনকে পাশ কাটিয়ে বাের্ড অব ট্রাস্ট্রিজের কিছু সদস্যের অনুমােদন/সম্মতির মাধ্যমে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস ডেভেলপমেন্ট এর নামে ৯০৯৬.৮৮ ডেসিমেল জমির ক্রয়মূল্য বাবদ ৩০৩ কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অতিরিক্ত অর্থ অপরাধজনকভাবে প্রদান/গ্রহণ করা হয়েছে। অর্থাৎ বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের হীন উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশী দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করেন, পরবর্তীতে বিক্রেতার নিকট থেকে নিজেদের লােকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরবর্তীতে আবার নিজেরা উক্ত এফডিআর’র অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাত করেন। অর্থাৎ, অবৈধ অপরাধলব্ধ আয়ের অবস্থান গােপনের জন্য উক্ত অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর মাধ্যমে মানিলন্ডারিং এর অপরাধও সংঘটন করেন।
উক্ত অপরাধলব্ধ অর্থ স্থানান্তর, রুপান্তরের মাধ্যমে হস্তান্তরপূর্বক অবস্থান গােপন করে মানিলন্ডারিং এর মাধ্যমে শাস্তিযােগ্য অপরাধ করায় এবং বেআইনী কার্যকলাপ সংঘটিত করে ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অপরাধজনক বিশ্বাসভঙ্গ করে বিশ্ববিদ্যালয় তথা সরকারি অর্থ আত্মসাত করে নিজেরা অন্যায়ভাবে লাভবান হয়েছেন এবং উক্ত বেআইনি কার্যক্রম করার ক্ষেত্রে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির আশ্রয় গ্রহণপূর্বক কমিশন বা ঘুষের আদান প্রদান করে শাস্তিযােগ্য অপরাধ করেছেন বিধায় বিশ্ববিদ্যালয়টির চেয়ারম্যান বোর্ড অব ট্রাস্ট্রিজ আজিম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য এম.এ. কাশেম, বেনজীর আহমেদ, মিসেস রেহানা রহমান ও মােহাম্মদ শাহজাহান এবং আশালয় হাউজিং এন্ড ডেভেলপার্স লি: এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মাে. হিলালী এর বিরুদ্ধে দন্ডবিধির ৪০৯/১০৯/৪২০/১৬১/১৬৫ক ধারা এবং ১৯৪৭ সনের ২নং দুর্নীতি প্রতিরােধ আইনের ৫(২) ধারা তৎসহ মানিলন্ডারিং প্রতিরােধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
বিভি/এইচকে
মন্তব্য করুন: