বাংলাদেশ ব্যাংক নির্ধারিত দামে কোথাও নেই ডলার!
প্রকাশিত: ২০:২০, ১৩ নভেম্বর ২০২৩
আপডেট: ২২:৪৩, ১৩ নভেম্বর ২০২৩

ফাইল ছবি
খোলাবাজারে কোথাও ব্যাংক নির্ধারিত দামে ডলার পাওয়া যাচ্ছে না। রবিবার প্রতি ডলার ১২৮ টাকায় বিক্রি হয়েছে। সোমবার (১৩ নভেম্বর) মতিঝিল, দিলকুশা, পল্টন, নয়াপল্টন, ফকিরাপুল এলাকার বিভিন্ন মানি এক্সচেঞ্জ ঘুরে কোথাও এবিবি ও বাফেদা নির্ধারিত ১১০টাকা ৫০ পয়সা দামে ডলার পাওয়া যায়নি।
তবে শর্ত সাপেক্ষে কয়েকটি মানি এক্সচেঞ্জ ১২৪ থেকে ১২৬ টাকা দরে ডলার বিক্রি করতে রাজি হয়েছে। সেই হিসাবে বৃহস্পতিবার থেকে আজ সোমবার (১৩ নভেম্বর) প্রতি ডলারের দাম কমেছে ২ থেকে ৪ টাকা পর্যন্ত।
এর আগে হস্পতিবার (৯ নভেম্বর) প্রতি ডলারের রেকর্ড ১২৮ টাকা দরে বিক্রি হয়েছে। যদিও বাংলাদেশ ব্যাংক ডলারের দাম ১১০.৫০ টাকা নির্ধারণ করে দিয়েছিলো। তবে এই দামে কোথাও ডলার পাওয়া যাচ্ছে না।
এবিষয়ে জানতে চাইলে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক মো. মেজবাউল হক বাংলাভিশনকে বলেন, ‘যদি কোনো ব্যাংক অতিরিক্ত দামে ডলার বিক্রি করে তাহলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।
বাংলাদেশ ফরেন এক্সচেঞ্জ অথরাইজড ডিলারস অ্যাসোসিয়েশন (বাফেদা) চেয়ারম্যান ও সোনালী ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আফজাল করিম বাংলাভিশনকে বলেন, আমরা ডলারের দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে। এনিয়ে ইতোমধ্যে একটি সার্কুলারও দেওয়া হয়েছে। সেখানে ব্যাংকগুলো রেমিট্যান্সের ডলার সংগ্রহে সর্বোচ্চ ১১০.৫০ টাকা রেট দিতে পারে। ব্যাংকগুলো নিজেদের তহবিল থেকে দেওয়া সর্বোচ্চ আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ এক্সচেঞ্জ হাউজগুলো থেকে সর্বোচ্চ ১১৩.২৬ টাকা রেটে রেমিট্যান্সের ডলার সংগ্রহ করতে পারবে। গ্রাহকেরা এর সঙ্গে সরকারি আড়াই শতাংশ প্রণোদনাসহ ১১৬ টাকা রেট পাবেন।
তবে ডলার বিক্রির ক্ষেত্রে আমদানিকারকদের কাছ থেকে নিজেদের তহবিল থেকে দেওয়া প্রণোদনার খরচ নিতে পারবে না ব্যাংকগুলো।
মানি এক্সচেঞ্জ এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ সভাপতি একেএম ইসমাইল হক বাংলাভিশনকে জানিয়েছেন, ‘আজ সোমবার আমরা প্রতি ডলার ১১৭ টাকা করে বিক্রি করছি। আর কিনছি ১১৫.৫০ পয়সা করে।’
জরুরী প্রয়োজনে ডলার কেনা সাধারণ বিদেশগামী যাত্রীরা জানান, প্রতি ডলার ১২৪/১২৬ টাকা দরে কিনতে হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে জানা গেছে, চলতি নভেম্বর মাসের প্রথম ১০ দিনে প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে ৭৯ কোটি ৪৪ হাজার ডলার। এতে দৈনিক আসছে ৭ কোটি ৯৪ লাখ মার্কিন ডলার রেমিট্যান্স। এরমধ্যে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৪ কোটি ৯২ লাখ ৪০ হাজার ডলার, বিশেষায়িত একটি ব্যাংকের মাধ্যমে ১ কোটি ৯৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে ৭২ কোটি ৩২ লাখ ৬০ হাজার ডলার এবং বিদেশি ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে এসেছে ২৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন ডলার।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: