• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই শেয়ারবাজারে আসতে চায় সাকিবের কোম্পানি

প্রকাশিত: ১৯:৫৯, ২২ নভেম্বর ২০২৩

আপডেট: ২১:২১, ২২ নভেম্বর ২০২৩

ফন্ট সাইজ
পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়াই শেয়ারবাজারে আসতে চায় সাকিবের কোম্পানি

শেয়ারবাজারের ওভার দ্য কাউন্টার (ওটিসি) মার্কেট থেকে স্বল্প মূলধনী (এসএমই) মার্কেটে তালিকাভুক্তি হতে চাওয়া আল-আমিন কেমিক্যাল ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের পরিবেশ ছাড়পত্র নেই। এ জন্য ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) কোম্পানিটির আবেদন নাকচ করে দিয়েছে। এ সংক্রান্ত একটি চিঠি গত ১৬ নভেম্বর কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালককে পাঠানো হয়েছে।

কোম্পানি সংশ্লিষ্টরা বিষয়টি স্বীকার করেছে। তবে এটা ডিএসইর সঙ্গে সমন্বয়হীনতা নয় বলে জানিয়েছেন কোম্পানির একজন পরিচালক। ক্রিকেটার সাকিব আল-হাসান এই কোম্পানির মালিকানায় রয়েছেন।

এদিকে এসএমই মার্কেটে তালিকাভুক্তি আটকে গেছে। কোম্পানিতে পাঠানো ডিএসইর চিঠিতে আবেদন নাকচের চারটি কারণ উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, কোম্পানির বর্তমান অবস্থার সঙ্গে ব্যবসায়িক পরিকল্পনার প্রতিফলন হচ্ছে না। যা সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ অর্ডিন্যান্স, ১৯৬৯-এর ১৮ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। পরিবেশ সার্টিফিকেট ও প্রয়োজনীয়  রেজিষ্টশন না থাকা ও বর্তমান কর্মক্ষম অবস্থা কোম্পানির কৌশলগত পরিকল্পনা প্রতিফলিত করে না বলেও চিঠিতে বলা হয়।

পরিবেশ ছাড়পত্র না থাকার বিষয়ে কোম্পানির পরিচালক এ এফ এম রফিকুজ্জামান বলেন, আমরা ৩০ বছরের পুরনো একটি কোম্পানির দায়িত্ব নিয়েছি। গত ১৫ বছর এটি ওটিসি মার্কেটে পড়ে আছে।  এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বিনিয়োগকারীরা। তাই বিনিয়োগকারীদের স্বার্থে ও একটি কোম্পানিকে পুনর্জীবন দিতেই আমরা দায়িত্ব নিয়েছি।

তিনি বলেন, পুরনো কোম্পানির দায়িত্ব নেওয়ার পর আমরা সব কাগজপত্র আপডেট করেছি। এরমধ্যে কোনো কোনোটার মেয়াদ হয়তো শেষ, সে কারণে ডিএসই মনে করেছে এটা থাকা দরকার, তাই তারা আপাতত আমাদের আবেদন নাকচ করেছে। তবে শিগগিরই আমরা পরিবেশ ছাড়পত্রসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দেবো। 

তিনি আরও বলেন, ইতোমধ্যে আমরা ব্যবসা সম্প্রসারণে কাজ করছি। তিনটি বড় টেন্ডার পেয়েছি। আরও কয়েকটি বড় টেন্ডার পেতে যাচ্ছি। গত জুনে কোম্পানি বিনিয়োগকারীদের ২.১ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে।

তবে পরিবেশ সার্টিফিকেট ও প্রয়োজনী কাগজপত্র না দেখে কীভাবে পুঁজিবাজারের থেকে এতো টাকা উত্তোলন সম্ভব হয়েছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এই অর্থ আমরা স্পন্সরদের কাছ থেকেই সংগ্রহ করেছি।

কোম্পানিটির তালিকাভুক্তির জন্য বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ও ডিএসইর কর্মকর্তারা সহযোগিতা করেছেন বলেও জানান তিনি। ওই সব কর্মকর্তারা দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন এ এফ এম রফিকুজ্জামান।

কোম্পানির প্রোফাইল ঘেটে দেখা যায়, আল-আমিন কেমিক্যালের পুনর্গঠিত পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন আমিনুল ইসলাম শিকদার। আর কোম্পানিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পালন করছেন মুন্সি শফি উদ্দীন।

মাসুক আলম, এ এফ এম রফিকুজ্জামান, জাভেদ এ মতিন, খাইরুল বাশার ও হুমায়ুন কবির কোম্পানিটির মনোনীত পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

এছাড়া সিমাব ফাহিম কোম্পানিটির স্বতন্ত্র পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 

সাকিব আল হাসানের দুটি প্রতিষ্ঠান মোনার্ক মার্ট (জাভেদ এ মতিন প্রতিনিধিত্বকারী) ২.৪০ শতাংশ এবং মোনার্ক এক্সপ্রেসের ৪.৮০ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। 

আমিনুল ইসলাম সিকদার এবং মো. খায়রুল বাশার (ইশাল কমিউনিকেশনের প্রতিনিধিত্বকারী) ১৪.৪ শতাংশ, এ এফ এম রফিকুজ্জামান ১০ শতাংশ, মাশুক আলম ৬ শতাংশ, মো. হুমায়ুন কবির (লাভা ইলেকট্রোডস ইন্ডাস্ট্রিজের প্রতিনিধিত্বকারী) ২.৪০ শতাংশ এবং মুন্সি শফি উদ্দিন ৮.১৭৫ শতাংশ শেয়ার কিনেছেন।

কোম্পানিটির সাবেক চেয়ারম্যান সৈয়দ আশিক ১৮.৪০ শতাংশ, ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ আতিকা ১৫.৯৭৫ শতাংশ ও তাজাক্কা তানজিম ১৩.৮০ শতাংশ শেয়ার ওই দুই প্রতিষ্ঠান ও পাঁচ ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন। 

আল-আমিন কেমিক্যাল বর্তমানে শেয়ারবাজারের ওটিসি মার্কেটে তালিকাভুক্ত রয়েছে। আর্থিক অবস্থা বিবেচনা করে কোম্পানিটিকে এসএমই প্ল্যাটফর্মে স্থানান্তর করার সিদ্ধান্ত নেয় বিএসইসি। কোম্পানিটি ২০০২ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। বর্তমান শেয়ার সংখ্যা ৫০ লাখ।

এর মধ্যে উদ্যোক্তা পরিচালকদের হাতে ৫০ শতাংশ, প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের হাতে ২.৫৪ শতাংশ ও সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে ৪৭.৪৬ শতাংশ শেয়ার রয়েছে। ডিএসইতে কোম্পানিটির শেয়ার সর্বশেষ ৩১ টাকায় লেনদেন হয়েছে।

বিভি/এএইচএস/এজেড

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2