আগামী কয়েক বছর দেশের পোশাক খাতে সুসময় থাকবে
শ্রমিক সংকটে ভুগছে গার্মেন্টস শিল্প

সংগৃহীত ছবি
প্রয়োজনীয় শ্রমিক সংকটে ভুগছে পোশাক খাত। করোনার শুরুতে অনেক শ্রমিক পেশা পরিবর্তন করায় ও গ্রামে ফিরে যাওয়া এর প্রধান কারণ বলছেন সংশ্লিষ্টরা। তাই চাইলেও নির্দিষ্ট পরিমাণের বেশি উৎপাদন করা সম্ভব হচ্ছে না বলছেন, পোশাক মালিকরা।
বিকেএমইএ নির্বাহী সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম জানান, করোনার শুরুতে পোশাক খাতের বহু শ্রমিক চাকরি হারিয়েছিলেন। দেশের বিভিন্ন গবেষণা প্রতিষ্ঠানের হিসেবে সে সংখ্যা কমপক্ষে সাড়ে তিন লাখ। জীবিকার তাগিদে অনেকে পেশা পরিবর্তন করতেও বাধ্য হয়েছিলেন। কিন্তু ক্রেতাদের বাড়তি বিক্রয়াদেশ প্রবণতায় পাল্টে গেছে পরিস্থিতি। এখন প্রয়োজনীয় শ্রমিকের অভাবে আছে বহু পোশাক কারখানা।
এদিকে বিজিএমইএ পরিচালক খসরু চৌধুরী বলছেন পোশাক খাতে নতুন বিনিয়োগের সুযোগ তৈরি হয়েছে কিন্তু শ্রমিক সংকটের কারণে ভাবনায় পরেছেন তৈরি পোশাক শিল্পের উদ্যোগক্তরা।
২০ থেকে ২৫ শতাংশ শ্রমিকের ঘাটতি রয়েছে। সেজন্য সময়মতো অনেক অর্ডারই সম্পন্ন করতে পারছি না অনেক কারখানা। নতুন অর্ডার নেয়ার ক্ষেত্রেও বাড়তি সতর্ক থাকতে হচ্ছে।
তথ্য বলছে, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে ২৮ বিলিয়ন ডলারের পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ। পরের অর্থবছরে এসেছে ৩০ বিলিয়ন ডলার। এরপর এক বছরেই ৪ বিলিয়ন ডলার আয় বেড়ে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে তা দাঁড়ায় ৩৪ বিলিয়ন ডলারে। করোনার কারণে গত দুই অর্থবছরে কমে গেলেও আবার দ্রুতগতিতে বাড়ছে এই খাতের রপ্তানি আয়।
করোনার আগে ক্রমবর্ধমান ক্রয়াদেশের সঙ্গে দরকার মতো শ্রমিকও পেয়েছেন উদ্যোক্তারা। তাহলে বর্তমানে কেন এই সংকট তৈরি হয়েছে? তা খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়ার পরামর্শ বিশ্লেষকদের। অর্থনীতিবিদ অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন বলেছেন, প্রাথমিকভাবে আমাদের চিহ্নিত করতে হবে কোন জায়গা থেকে সমস্যা টি হয়েছে। শ্রমিক আসতে চাচ্ছে না, যারা আগে এখানে ছিল। নাকি নতুন করে শ্রমিকের চাহিদা সৃষ্টি হয়েছে। কোনটি মূলত সমস্যা?
পর্যাপ্ত দক্ষ শ্রমিক পাওয়া গেলে আগামী কয়েক বছর দেশের পোশাক খাতে সুসময়ই থাকবে এমন আশা সংশ্লিষ্টদের।
মন্তব্য করুন: