মাসের শেষ কার্যদিবসে পুঁজিবাজারে হাজার কোটি টাকার লেনদেন

ডিএসইএ’র লোগো
মার্চেন্ট ব্যাংক ও স্টক ডিলারদের বড় বিনিয়োগের ঘোষণার পরদিন চলতি মার্চ মাসের শেষ কার্যদিবসে তৃতীয়বারের মতো পুঁজিবাজারে লেনদেন ১ হাজার কোটি টাকা ছাড়ালো। এর আগে চলতি মার্চ মাসের ১০ ও ১৫ তারিখ যথাক্রমে ১ হাজার ৬১ কোটি ২০ লাখ এবং ১ হাজার ৬৫ কোটি ৬৩ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছিলো।
বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) দিন শেষে লেনদেনের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১ হাজার ১১৬ কোটি ৯৪ লাখ ৬৫ হাজার টাকা। এর আগে ১৬ ফেব্রুয়ারি ১ হাজার ২১৩ কোটি ৬৪ লাখ ৪৫ হাজার টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছিল। গত ১৫ মার্চ সবশেষ হাজার কোটি টাকা লেনদেন হয়েছিল। সেদিন হাতবদল হয়েছিল ১ হাজার ৬৫ কোটি ৬৩ লাখ ৪০ হাজার টাকা।
২৪ ফেব্রুয়ারি ইউক্রেনে রুশ হামলা শুরু হলে আতঙ্কে পুঁজিবাজারের লেনদেন কমে যায়। দরপতন ঠেকাতে নিয়ন্ত্রক সংস্থা সর্বোচ্চ সীমা ২ শতাংশে নামিয়ে আনার পাশাপাশি বিনিয়োগ বাড়ানো ব্যাংক, সম্পদ ব্যবস্থাপনা কোম্পানির সঙ্গে বৈঠকে বসে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)। পাশাপাশি অতালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলোতেও বিনিয়োগের নির্দেশ দেয় সংস্থাটি। কিন্তু তাতেও লেনদেনে ৬০০ কোটি টাকার ঘরে নেমে আসে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে বুধবার বাজার মধ্যস্থতাকারীদের সঙ্গে বৈঠকে বসে বিএসইসি।
বৈঠকে রমজানে ২০০ থেকে ৩০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করার ঘোষণা দেয় মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো। এ বিষয়ে মার্চেন্ট ব্যাংকগুলোর সমিতি বিএমবিএর সভাপতি প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেবেন। এছাড়াও বিএমবিএ’র পক্ষ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা তহবিল গঠনের যে প্রস্তাব দিয়েছিল, সে বিষয়েও বিএসইসি ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার শেষ পৌনে ১ ঘণ্টায় সেখান থেকে সূচক বাড়ে ২৭ পয়েন্ট। শেষ মুহূর্তের সমন্বয়ে আগের দিনের চেয়ে ৪ পয়েন্ট বেড়ে শেষ হয় লেনদেন। তবে সূচক বাড়লেও বেশির ভাগ কোম্পানির শেয়ারদর হারিয়েছে। বেড়েছে ১৩৪টি কোম্পানির দর। বিপরীতে কমেছে ১৮৩টি। অপরিবর্তিত ছিল বাকি ৬২টি কোম্পানির শেয়ারদর।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: