• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী থাইল্যান্ড

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৮:০৬, ১৬ এপ্রিল ২০২২

ফন্ট সাইজ
বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে আগ্রহী থাইল্যান্ড

বাণিজ্যের পরিমাণ দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি ও অর্থনৈতিক সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী থাইল্যান্ড। সম্প্রতি ইউএনবিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা জানান ঢাকায় নিযুক্ত থাই রাষ্ট্রদূত মাকাওয়াদি সুমিতমোর।

তিনি বলেন, দুই দেশই দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের পরিমাণ দুই বিলিয়ন মার্কিন ডলারে উন্নীত করার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। বাংলাদেশ ও থাইল্যান্ডের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বৃদ্ধির একটি উপায় হচ্ছে সরাসরি সমুদ্র পরিবহন রুট স্থাপন করা।

তিনি জানান, থাইল্যান্ড স্বল্পোন্নত দেশগুলোর (এলডিসি) জন্য শুল্কমুক্ত কোটা ফ্রি (ডিএফকিউএফ) প্রকল্প অনুমোদন করেছে। যার অর্থ বাংলাদেশ শুল্ক ছাড়াই থাইল্যান্ডে সাত হাজার ১৮৭টি কৃষি ও শিল্প পণ্য রপ্তানি করতে পারে।

তিনি আরও বলেন, আমরা গত ডিসেম্বরে চট্টগ্রাম বন্দর এবং রনং বন্দরের মধ্যে সরাসরি উপকূলীয় শিপিং পরিষেবা চালু করার জন্য একটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছি। আগে শিপমেন্টগুলো সিঙ্গাপুর বা শ্রীলঙ্কার মাধ্যমে ট্রানজিট করতে হয়, যার জন্য ১২-১৫ দিন সময় লাগত। তবে দুই বন্দরের মধ্যে সমঝোতা স্মারক অনুযায়ী সময় ও খরচ কমাতে রনং বন্দর ও চট্টগ্রাম বন্দরের মধ্যে সরাসরি উপকূলীয় শিপিং রুট স্থাপনের চেষ্টা করছে দুই দেশ। এটি বাস্তবায়িত হলে শিপমেন্টগুলো পরিবহনের সময় অন্তত তিন দিন কমে যাবে।

মাকাওয়াদি সুমিতমোর বলেন, শুধুমাত্র তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভর না করে দেশের আয়ের উৎসকে বৈচিত্র্যময় করতে পারলে বাংলাদেশের অর্থনীতি আরও টেকসই হবে।

রাষ্ট্রদূত বলেন, গত পাঁচ দশকে বাংলাদেশ তার ক্রমবর্ধমান মাথাপিছু আয় দিয়ে ক্রমান্বয়ে দেশ গড়েছে। মহামারি সত্ত্বেও অব্যাহত জিডিপি প্রবৃদ্ধির ফলে বাংলাদেশ কয়েক বছরের মধ্যে স্বল্পোন্নত দেশ (এলডিসি) থেকে উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হবে।

তিনি বলেন, ‘তৈরি পোশাকের ডিজাইনের বিষয়ে সক্ষমতা বৃদ্ধির মাধ্যমে এবং স্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোকে বিশ্ব বাজারে প্রতিযোগিতা করার যোগ্য হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রয়োজনীয় গবেষণা ও উন্নয়নের মাধ্যমে আরএমজি পণ্যের দাম বাড়ানোর কথাও বিবেচনা করা উচিত বাংলাদেশের।’

রাষ্ট্রদূত সুমিতমোর বলেন, বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ থাইল্যান্ডের সঙ্গে মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির সম্ভাব্যতার বিষয়ে একটি সমীক্ষা চালাচ্ছে। যদি এ চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয় তবে শুল্ক নিয়ে প্রতিবন্ধকতা হ্রাস পাবে এবং বাণিজ্য প্রবাহ বৃদ্ধি করবে।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2