সোনালী পেপারের রাইট শেয়ার অনুমোদন

সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস
পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস লিমিটেডকে রাইট শেয়ার ছেড়ে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বুধবার (২০ এপ্রিল) নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) ৮২১তম কমিশন সভায় কোম্পানিটিকে ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ১ কোটি ৯ লাখ ৮১ হাজার ৭২৯টি শেয়ার ইস্যুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটি এই শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে বাজার থেকে ১০ কোটি ৯৮ লাখ ১৭ হাজার ২৯০ টাকা সংগ্রহ করবে।
বিএসইসির নির্বাহী পরিচালক ও মুখপত্র মোহাম্মদ রেজাউল করিম সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, আজকের সভায় সোনলী পেপারকে (১ রাইট : ২) অর্থাৎ বিদ্যমান দুটি শেয়ারের বিপরীতে একটি করে সাধারণ রাইট শেয়ার হিসেবে বাজারে ছেড়ে অর্থ উত্তোলনের জন্য অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই অর্থ দিয়ে কোম্পানির মূলধনী যন্ত্রপাতি কেনা হবে। কোম্পানির আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রাইট শেয়ার ছেড়ে অর্থ উত্তোলনের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। তবে শর্ত হচ্ছে কোম্পানিটি আগামী ৫ বছর বোনাস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে তার মূলধন বৃদ্ধি করতে পারবে না। স্পন্সর-ডিরেক্টররা ৩ বছর কোম্পানির শেয়ার বিক্রি করতে পারবেন না। তাদের শেয়ার লক ইনের মধ্যে থাকবেন।
কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন অনুসারে ৩০ জুন ২০২১ সময়ে কোম্পানির শেয়ার প্রতি নিট সম্পদ মূল্য ২৩৫ দশমিক ২৭ টাকা। শেয়ার প্রতি আয় (ডায়লুটেড) ৪ টাকা ৭ পয়সা। কোম্পানটির ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্বে রয়েছে ইউসিবি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড। তবে এই কোম্পানিটির বিরুদ্ধে অতিরঞ্জিত করে জমি পুনর্মূল্যায়ন করার অভিযোগ রয়েছে। তাই সম্প্রতি কোম্পানির দুটি সমাপ্ত হিসাব বছরের (২০২০ ও ২০২১ সালের ৩০ জুন) আর্থিক প্রতিবেদন পুনরায় বিশেষ নিরীক্ষা করা সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএসইসি। এ জন্য আজিজ হালিম খায়ের চৌধুরী অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে নিয়োগ দিয়েছে কমিশন।
সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলস ২০১৬ সালের ৩১ জানুয়ারি ১১.৫০ একর জমি স্বতন্ত্র মূল্যায়নের জন্য এস. এইচ. খান অ্যান্ড কেং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টসকে নিয়োগ দেয়। পরবর্তীতে ওই বছরের ১৮ মে কোম্পানির নিয়োগকৃত নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠান মূল্যায়ন প্রতিবেদন জমা দেয়। সেখানে উল্লেখ করা হয়, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় অবস্থিত মোট ১১.৫০ একর জমিটি পুনর্মূল্যায়ন করা হয়েছে ৫১৭.৫০ কোটি টাকায়।
এর আগে জমিটির পূর্ব মূল্য ছিল ১.১৩৭ কোটি টাকা। জমিটি পুনর্মূল্যায়ন করার সময় প্রতি ডেসিমেলের মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ৪৫ লাখ টাকা। এর মাধ্যমে কোম্পানিটির মোট শেয়ারহোল্ডারদের ইক্যুইটি এবং সোনালী পেপারের শেয়ারপ্রতি নিট অ্যাসেট ভ্যালুকে (এনএভি) প্রভাবিত করেছে।
ফলে নতুন বিশেষ নিরীক্ষক নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানায় অবস্থিত সোনালী পেপার অ্যান্ড বোর্ড মিলসের পূর্বোক্ত ১১.৫০ একর জমি স্বতন্ত্র মূল্যায়ন করবে। ওই স্থানে একই ধরনের জমি সরকারি মৌজা মূল্যের সঙ্গে তুলনা করে উল্লেখিত জমি মূল্যায়ন করতে হবে। আর নিরীক্ষক কার্যক্রম পরিচালনার ক্ষেত্রে ২০১৩ সালের ১৮ আগস্ট জারি করার বিএসইসির নির্দেশনা মেনে চলতে নির্দেশ দেওয়া হলো।
মন্তব্য করুন: