চট্টগ্রাম বন্দরে খালাস চলছে আমদানি করা অপরিশোধিত পাম তেল

ইন্দোনেশিয়া থেকে আমাদনি করা দুই কোটি ৫৪ লাখ লিটার অপরিশোধিত পাম তেল খালাস কাজ চলছে চট্টগ্রাম বন্দরে। আমাদনি করা বড় জাহাজ (মাদার ভেসেল) থেকে ছোট জাহাজে (লাইটার ভেসেলে) এসব তেল খালাস করা হচ্ছে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে। এসব তেল খালাসে কয়েকদিন সময় লাগবে জানিয়েছে জাহাজের স্থানীয় শিপিং এজেন্ট।
দুই কোটি ৫৪ লাখ লিটার ইন্দোনেশিয়ান অপরিশোধিত পাম তেল নিয়ে শুক্রবার ( ৬ মে) চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে নোঙ্গর করে দুটি জাহাজ। আমাদনি কাগজপত্র যাচাই শেষে এখন জাহাজ দুটি থেকে লাইটার জাহাজে তেল খালাসের কাজ চলছে বহিঃনোঙ্গরেই। বহিঃনোঙ্গরে বেশকিছু তেল খালাসের পর আনা হবে বন্দরের ডলফিন জেটিতে। এখানে সব তেল খালাস শেষে জাহাজগুলো চট্টগ্রাম বন্দর থেকে নোঙ্গর তুলেবে।
জাহাজের স্থানীয় প্রতিনিধি মোহাম্মদী ট্রেডিং কোম্পানি লিমিটেডের অপারেশনম্যানেজার মোহাম্মদ আরিফ মাহমুদ জানান, আমদানি প্রক্রিয়া শেষে এখন জাহাজের তেল খালাস করা হচ্ছে। বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে ছোট জাহজে লাইটারিং করা হচ্ছে। পুরো তেল খালাস করতে কয়েকদিন সময় লাগবে বলে জানান তিনি।
চট্টগ্রাম বন্দরের সচিব মো. ওমর ফারুক জানান, ভোগ্যপণ্যসহ তেলের জাহাজকেনোঙ্গর করা ও খালাসের ক্ষেত্রে অগ্রাধিকার দিয়ে থাকে বন্দর কতৃপক্ষ। ভোগ্যপণ্যসহ তেলের জাহাজকে নোঙ্গর করা ও পণ্য খালাসের ক্ষেত্রে তাই কোনো জটিলতা তৈরি বা হয়রানির সুযোগ নেই।
রপ্তানি নিষেধাজ্ঞার আগে শেষ মুহূর্তে ইন্দোনেশিয়ার জলসীমা ত্যাগ করতে পেরেছে চট্টগ্রামমুখী জাহাজ দুটি। এই দুই জাহাজে ২ কোটি ৫৪ লাখ লিটার পাম তেল রয়েছে। এ নিয়ে ইন্দোনেশিয়া থেকে নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের আগের দিন তিন জাহাজে করে আনা ২ কোটি ৮৬ লাখ লিটার পাম তেল আসছে দেশে।
এছাড়া নিষেধাজ্ঞা কার্যকরের তিন দিন আগে ইন্দোনেশিয়া ছেড়ে আসা আরেকটি জাহাজও চট্টগ্রাম বন্দরের পথে রয়েছে। ‘এমটি অউ তৌরুজ’ নামের জাহাজটি এখন ভারতের কৃষ্ণপত্তনাম বন্দরে অবস্থান করছে। সেখানে কিছু পাম তেল খালাস করে কাল রবিবার চট্টগ্রাম বন্দরে পৌঁছাবে। এই জাহাজে প্রায় ৩৩ লাখ লিটার পাম তেল আমদানি করেছে বহুজাতিক সংস্থা ইউনিলিভার। মূলত নিজেদের প্রসাধনতৈরিতে ব্যবহার হবে এই পাম তেল।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: