ধান-চাল মজুতদারের বিরুদ্ধে অভিযান আরও জোরালো হবে: খাদ্যমন্ত্রী

ধান ও চাল মজুতদারির বিরুদ্ধে চলমান অভিযান আরও জোরালো হবে বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার।
বৃহস্পতিবার (২ জুন) ‘ বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহ ও বাজার মনিটরিং সংক্রান্ত অনলাইন মতবিনিময় সভায়’ ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
খাদ্যমন্ত্রী বলেন, একটি মহল খাদ্য ঘাটতির বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়াচ্ছে, তবে বাংলাদেশে খাদ্য ঘাটতির আশঙ্কা নেই। মজুতদারের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে, এই অভিযান আরও জোরালো হবে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, দুই কারণে সরকার ধান চাল সংগ্রহ করে। প্রথমত, সরকার ধান কিনলে কৃষক তার ফসলের নায্যমূল্য পায়। দ্বিতীয়ত, জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
তিনি বলেন, বোরো সংগ্রহ সফল করতে খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের কাজ করতে হবে। কোন ধরনের গাফিলতি সহ্য করা হবে না।
ধান-চাল সংগ্রহকালে কারও সঙ্গে দুর্ব্যবহার না করার বিষয়ে নির্দেশনা দিয়ে মন্ত্রী বলেন, তবে চালের কোয়ালিটির সঙ্গে কম্প্রোমাইজ করা যাবে না।
খাদ্যমন্ত্রী আরও বলেন, বড় বড় কর্পোরেট হাউস ধান-চাল সংগ্রহ করছে। এসব প্রতিষ্ঠানের নিজস্ব মিল না থাকলে তারা যেন এই ব্যবসায় যুক্ত না হতে পারে, সেটা নিশ্চিতে ধান-চালের বাজারে নজরদারি বাড়াতে প্রশাসনকে নির্দেশনা দেন তিনি।
খাদ্য বিভাগের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, ফুড গ্রেইন লাইসেন্স প্রদান ও নবায়নে জোর দিতে হবে। কেউ যাতে লাইসেন্স ছাড়া ব্যবসা না করতে পারে, অবৈধ মজুত করতে না পারে, তা নিশ্চিত করতে হবে। অবৈধ মজুতদারদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনে স্পেশাল পাওয়ার এ্যাক্ট ১৯৭৪ অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেন তিনি।
তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী দেশগুলোতে চালের দাম ও গমের দাম কমতে শুরু করেছে। সে দেশগুলো চাল ও গম রফতানি করবে মর্মে পত্রও দিচ্ছে। প্রয়োজনে ট্যাক্স কমিয়ে চাল আমদানি করা হবে।
খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. মজিবর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় খাদ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সাখাওয়াত হোসেন, চট্টগ্রাম বিভাগের বিভাগীয় কমিশনার মো. আশরাফ উদ্দিন, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের জেলা প্রশাসকগণ, কৃষি বিভাগের উপ-পরিচালকগণ, খাদ্য বিভাগের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাগণ ও মিল মালিকগণ ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত ছিলেন।
বিভি/এএন
মন্তব্য করুন: