শেয়ার কিনতে পারছে না ব্লুচিপ সিকিউরিটিজের গ্রাহকরা

মালিকানা পরিবর্তনের পর ব্লুচিপ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের গ্রাহকরা শেয়ার কিনতে পারছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্য প্রতিষ্ঠানটির ভুক্তভোগী বিনিয়োগকারীরা জানান, ডিএসই’র ট্রেড নিষেধাজ্ঞার কারণে গত এক সপ্তাহ ধরে প্রতিষ্ঠানটির বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বিক্রি করতে পারলেও কিনতে পারছে না। এতে অনিশ্চয়তায় পড়েছেন সাধারণ বিনিয়োগকারীরা।
বিষয়টি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির হিসাব শাখার ম্যানেজার শফিকুল হাসান জানান, এক সপ্তাহ নয়, গত তিনদিন আমরা শেয়ার বাই করতে পারছি না। শুধু সেল করতে পারছি।
এটা ডিএসই’র সাসপেশনের কারণে হয়েছে কি-না জানতে চাইলে তিনি দাবি করেন, আমাদের ট্রেড সাসপেন্ড হয়নি। শেয়ার বাই-সেল করছেন তারা। তবে ফ্রি-লিমিট স্থগিত ছিল। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) সেটাও আজ (বুধবার) চালুর জন্য চিঠি দিয়েছে। তিনি এও দাবি করেন, যারা ট্রেড সাসপেন্ডের অভিযোগ করেছেন তারা মিথ্যা বলছেন।
তবে প্রতিষ্ঠানটির দুজন কর্মকর্তা নিশ্চিত করেছেন তারা এক সপ্তাহ নয়, বরং তিনদিন ধরে শেয়ার কিনতে করতে পারছেন না। শুধু সেল করতে পারছেন।
ব্লুচিপ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের গ্রাহক মো. রফিক বলেন, এক সপ্তাহ ধরে শেয়ার বাই করতে পারছি না। হাউজ থেকে শুধু বলে সেল করেন। কেন বাই করা যাচ্ছে এনিয়ে সিকিউরিটিজটির কর্মকর্তারা মুখ খুলছেন না।
রশিদ নামের আরেকজন বিনিয়োগকারী বলেন, হাউজ থেকে শুধু বলছে, বাই করা যাবে না, সেল করেন। ৮ কার্যদিবস হলো বাই করতে পারছি না। এর ব্যাখ্যাও তারা দিচ্ছে না। ব্লুচিপ সিকিউরিটিজ আগে ছিল খুরশিদ সিকিউরিটিজ। এটা কিনে নেওয়ার পর গ্রাহকদের টাকা নিয়ে কিছু জটিলতা ছিল। তার পরিপ্রেক্ষিতেই এটা হতে পারে বলে আমি ধারনা করছি।
মতিঝিলের মধুমিতা বিল্ডিংয়ে অবস্থিত ব্লুচিপ সিকিউরিটিজ লিমিটেড-এর ট্রেড সাসপেন্ডের বিষয়টি জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানটির একজন ট্রেডার এর সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, আমরা তিনদিন ধরে শেয়ার বাই করতে পারছি না। তবে সেল করতে পারছি। সমস্যাটা বৃহস্পতিবারের মধ্যে সমাধান হয়ে যাবে বলেও জানান তিনি।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুর রহমান মজুমদার বলেন, ‘ব্লুচিপ সিকিউরিটিজে কিছু জটিলতা থাকায় ফ্রি-লিমিট স্থগিত ছিল। তবে বাই-সেল বন্ধ করা হয়নি। কিন্তু কী কারণে গ্রাহকরা শেয়ার বাই করতে পারছে না তা সংশ্লিষ্ট সিকিউরিটিই ভালো বলতে পারবে।
এর আগে চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) ব্লুচিপকে সিকিউরিটিজ কোম্পানিটিকে আইন মানতে সতর্ক করে একটি চিঠি দিয়েছিলো।
জানা গেছে, কোম্পানিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. ফেরদৌস আহম্মেদ ফুটবল বিশ্বকাপের ভিসা নিয়ে কাতার গেলেও তিনি আগামী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ছুটি চেয়েছেন। বর্তমানে তিনি কানাডায় অবস্থান করছেন। কোম্পানিটি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, তিনি কানাডায় স্থায়ী ভাবে বসবাসের চেষ্টা করছেন। হয়তো তিনি আর দেশে আসবেন না।
উত্তরা গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক মজিবুর রহমান ব্লুচিপ সিকিউরিটিজ লিমিটেড নামে ২০১৭ সালের ২৪ জানুয়ারি ডিএসই’র ৪৭ নম্বর ট্রেক লাইসেন্স নিয়ে সিকিউরিটিজ ব্যবসা শুরু করে।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: