• NEWS PORTAL

  • রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

দেশের সবশেষ রিজার্ভ কত জানা গেছে

নিজস্ব প্রতিবেদক 

প্রকাশিত: ২১:৪৫, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩

আপডেট: ২১:৪৬, ১৯ জানুয়ারি ২০২৩

ফন্ট সাইজ
দেশের সবশেষ রিজার্ভ কত জানা গেছে

ফাইল ছবি

আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে কিংবা এলসি খোলা সীমিত করেও রিজার্ভের ওপর থেকে চাপ কমানো যাচ্ছে না। চলতি মাসের ১৮ দিনে দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩২ দশমিক ৪৭ বিলিয়ন ডলারে। 

গত ৮ জানুয়ারি এশিয়ান ক্লিয়ারিং ইউনিয়নের (আকু) ১১২ কোটি ডলার পরিশোধের পর দেশে রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়ে ছিলো ৩২ দশমিক ৫৭ বিলিয়ন বা ৩ হাজার ২৫৭ কোটি ডলার। 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) এর মানদণ্ড অনুযায়ী, বর্তমান রিজার্ভ থেকে আরও ৮ দশমিক ৪০ বিলিয়ন ডলার বাদ যাবে। এতে ব্যবহারযোগ্য রিজার্ভ দাঁড়াবে ২৪ বিলিয়ন ডলারের ঘরে। আইএমএফের মানদণ্ড অনুসারে, কেন্দ্রীয় ব্যাংককে অবশ্যই রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) থেকে শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া ঋণ এবং রিজার্ভ থেকে দেশীয় প্রকল্পে অর্থায়নের ব্যয় বাদ দিতে হবে। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় ব্যাংক আইএমএফ ও নিজস্ব গণনা পদ্ধতি দু’টিই অনুসরণ করছে।
 
বিশ্ব অর্থনীতির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাংলাদেশেও। একবছর আগে থেকেই চলছে ডলার সংকট। পরিস্থিতি সামাল দিতে রিজার্ভ থেকে ডলার বিক্রি করছে বাংলাদেশ ব্যাংক। এতে বুধবার (১৮ জানুয়ারি) রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৪৭ কোটি ৯০ লাখ ডলারে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, বুধবার (১৮ জানুয়ারি) দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ কমে দাঁড়িয়েছে ৩ হাজার ২৪৭ কোটি ৯০ লাখ ডলারে। যা আগের বছরের একই সময়ে ছিলো ৪ হাজার ৫২০ কোটি ৪০ লাখ ডলার। সে হিসাবে রিজার্ভ কমেছে ১ হাজার ২৭২ কোটি ৪৪ লাখ ডলার।

গত ৩১ ডিসেম্বর শেষ দিন রিজার্ভ ছিলো ৩ হাজার ৩৭৪ কোটি ৭৭ লাখ মার্কিন ডলার। গত ৮ জানুয়ারি দিন শেষে রিজার্ভ ছিলো ৩ হাজার ২৫৭ কোটি মার্কিন ডলার। অর্থাৎ শেষ দশ দিনে কমেছে ১০ কোটি ডলার। সেই হিসেবে চলতি মাসের ১৮ দিনে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ডলার কমেছে ১২৬ কোটি ৮১ লাখ। 

এর আগে ২০২১ সালের আগস্টে প্রথমবারের মতো দেশের ইতিহাসে রিজার্ভ ৪ হাজার ৮০৬ কোটি ডলার অতিক্রম করেছিল। আর ২০১৭ সালের মাঝামাঝি সময়ে রিজার্ভ ৩৩ বিলিয়ন ডলারের ঘর অতিক্রম করেছিল। কিন্তু করোনার প্রভাব ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির প্রভাব পড়তে থাকে দেশের অর্থনীতিতে। ডলার সংকট প্রকট আকার ধারণ করতে থাকে। ধারাবাহিকভাবে কমতে থাকে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ।

করোনার পরিস্থিতির উন্নতি হলে দেশে আমদানির চাহিদা ব্যাপক হারে বেড়ে যায়। এতে কেন্দ্রীয় ব্যাংকে দেখা দেয় ডলার সঙ্কট। লাগাম টানতে এলসি বা ঋণপত্র খোলার ওপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা হয়। তারপরও পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় সরকার আইএমএফ ৪৫০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা চায়। সবকিছু ঠিক থাকলে ফেব্রুয়ারি মাসে সেই ঋণের প্রথম কিস্তি পাওয়া যেতে পারে।  

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন: