ডিএসইর চার কর্মকর্তা বরখাস্ত

দেশের প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) ওয়েবসাইটে কয়েকটি কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদন সংক্রান্ত ভুল তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে। পরে বিষয়টি সংশোধন করলেও কারসাজি চক্রের ইন্ধনে এ ভুল তথ্য ইচ্ছাকৃতভাবেই প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও সম্প্রতি একটি কোম্পানি নিয়ম লঙ্ঘন করে বোনাস শেয়ার ঘোষণা করলেও ডিএসই'র মার্কেট অপারেশন বিভাগ তাৎক্ষণিক কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি।
সর্বশেষ অনুষ্ঠিত ডিএসই’র পর্ষদ সভায় ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম. সাইফুর রহমান মজুমদার কাছে এই বিষয়টি নিয়ে জানতে চাওয়া হয়েছে। একই সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা বা শোকজ করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। কেন কোন ধরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, সেজন্য ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পরিচালনা পর্ষদ। ফলে কোন ধরণের শোকজ না করে সরাসরি চার কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। নিয়ে একাধিকবার ফোন করলেও তিনি রিসিভ করেনি।
তবে এই বিষয়ে ডিএসইর একাধিক কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করা হয়েছে। কোন কর্মকর্তা এ বিষয়ে সরাসরি কথা বলতে রাজি হয়নি। বহিষ্কার হওয়া চার কর্মকর্তা হলেন- মার্কেট অপারেশন বিভাগের প্রধানের দায়িত্বে থাকা এজিএম মোহাম্মদ রনি ইসলাম। একই বিভাগের কামরুজ্জামান, হুমায়ুন কবির ও রাকিবুর রহমান।
এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা বলেন, ‘পর্ষদ সভায় ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালককে দায়িত্ব অবহেলা করা কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলা হয়েছে। তিনি কোন ধরণের শোকজ না করে সরাসরি বহিষ্কার করে দিয়েছেন।’
এজিএম মোহাম্মদ রনি ইসলামের পরিবর্তে এ বিভাগের প্রধান করা হয়েছে এজিএম মো. জলিলুর রহমানকে। নতুন করে এ বিভাগে আরও সংযুক্ত করা হয়েছে প্রোডাক্ট ম্যানেজম্যান্ট বিভাগে দায়িত্ব পালন করা ফয়সাল আব্দুল্লাহকে, সিএসডি বিভাগের সাজ্জাদ হোসাইনকে এবং ইন্টার্নাল অডিটের ইয়াসিন মিন্টু। এছাড়া, এইচআর বিভাগের মাহমুদা আক্তারকে বদলি করা হয়েছে ইন্টার্নাল অডিট বিভাগে।
গত ৩০ জানুয়ারি, শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত শতাধিক কোম্পানি দ্বিতীয় প্রান্তিকের অনীরিক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছিল। পরদিন ৩১ জানুয়ারি ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ওয়েবসাইটে এসব কোম্পানির আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য জানানো হয়। তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইস্টার্ন ক্যাবলস লিমিটেড দ্বিতীয় প্রান্তিকে শেয়ারপ্রতি ২৮ পয়সা লোকসান দিয়েছে এমন তথ্য দেওয়া হয় ডিএসইর ওয়েবসাইটে। অথচ দ্বিতীয় প্রান্তিকে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় হয়েছে ২১ পয়সা। অর্থাৎ আয়কে লোকসান হিসেবে দেখানো হয়েছে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে। যদিও প্রায় দুই ঘণ্টা পর তথ্য সংশোধন করে নেয় প্রধান শেয়ারবাজার কর্তৃপক্ষ। পরের দিন বিচ হ্যাচারি লিমিটেডের আর্থিক প্রান্তিকের আয় নিয়ে বিনিয়োগকারীদের বিভ্রান্ত করা হয়।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: