• NEWS PORTAL

  • সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫

Inhouse Drama Promotion
Inhouse Drama Promotion

মোবাইলে ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক বেড়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ 

প্রকাশিত: ১৭:১১, ২৫ মার্চ ২০২৩

ফন্ট সাইজ
মোবাইলে ব্যাংকিংয়ে গ্রাহক বেড়েছে ১ কোটি ৪৫ লাখ 

দেশে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে আট মাসের ব্যবধানে গ্রাহক সংখ্যা বেড়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯৫টি। জানুয়ারি শেষে নিবন্ধিত হিসাব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ১৩৭টি। গত বছরের জুন শেষে যার সংখ্যা ছিলো ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪২টি। 

এদেশে মধ্যে পুরুষ অ্যাকাউন্ট ১১ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ১০৯টি এবং নারীদের অ্যাকাউন্ট সংখ্যা ৮ কোটি ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮৩টি। মোবাইল ব্যাংকিং সঙ্গে অন্য অ্যাকাউন্ট ৪ লাখ ৫৭ হাজার ১৪৫টি এবং এজেন্ট অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছে ১৫ লাখ ৫৬ হাজার ১১২টি। 

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সর্বশেষ হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।

তথ্য অনুযায়ী, জানুয়ারি শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত হিসাব বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৯ কোটি ৪১ লাখ ২৫ হাজার ১৩৭টি। এর আগে গত বছরের জুন শেষে হিসাব সংখ্যা ছিলো ১৭ কোটি ৮৬ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪২টি। অর্থাৎ আলোচিত এই আট মাসে হিসাব বেড়েছে ১ কোটি ৫৪ লাখ ৮৫ হাজার ৪৯৫টি।

এদিকে গত ডিসেম্বর শেষে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে নিবন্ধিত হিসাবের সংখ্যা ছিলো ১৯ কোটি ১০ লাখ ৬৩ হাজার ৫৭৩টি। অর্থাৎ এক মাসের ব্যবধানে এধরনের হিসাব বেড়েছে ৩০ লাখ ৬১ হাজার ৫৬৪টি। এর মধ্যে পুরুষ গ্রাহক ১১ কোটি ২১ লাখ ৮১ হাজার ১০৯জন। 
অপরদিকে নারী গ্রাহক ৮ কোটি ১৪ লাখ ৮৬ হাজার ৮৮৩জন। এছাড়া মোবাইল ব্যাংকিং এজেন্টের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ৫৬ লাখ ৯ হাজার ১১২ জন।

দ্রুত শহর থেকে গ্রামে, গ্রাম থেকে শহরে সবখানে টাকা পাঠানোর সুযোগ তৈরি হওয়ায় মোবাইল ব্যাংকিং দেশের ব্যাংকিং সেবায় নতুন সম্ভাবনা এনে দিয়েছে। 
দেশের অর্থনীতিতে বিরাট এক গতি সঞ্চার করেছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের এই সেবা। একইসঙ্গে নতুন কর্মসংস্থান যোগ হয়েছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এদিকে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতিদিনের লেনদেন ছাড়াও বিদ্যুৎ, গ্যাস, পানির বিল পরিশোধ করা যায়, করা যায় কেনা কাটা। সেবামূল্য পরিশোধ, বেতন-ভাতা প্রদান, প্রবাসী আয় পাঠানো সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে মোবাইল ব্যাংকিং সেবা এখন পছন্দের শীর্ষে। কম খরচ ও দ্রুত দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে টাকা পাঠাতে প্রতিদিনই মোবাইল ব্যাংকিংয়ের জন্য হিসাব খুলছেন বিপুলসংখ্যক গ্রাহক। প্রতিমাসেই বাড়ছে গ্রাহকসংখ্যা।

বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, চলতি ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের প্রথম মাস অর্থাৎ জুলাইয়ে মোবাইল ব্যাংকিংয়ে লেনদেন হয়েছিলো ৮৯ হাজার ১৬৯ কোটি টাকা। আগস্ট মাসে কিছুটা কমে লেনদেন হয়েছিলো ৮৭ হাজার ৪৪৬ কোটি টাকা। এরপরের মাস সেপ্টেম্বরে ৮৭ হাজার ৬৩৫ কোটি, অক্টোবরে ৯৩ হাজার ১৩ কোটি, নভেম্বরে ৯২ হাজার ১২৫ কোটি এবং ডিসেম্বরে লেনদেন হয়েছিলো ৯৬ হাজার ১৩২ কোটি টাকা। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ১ লাখ ৬৯৩ কোটি টাকা লেনদেন হয়েছে।

মোবাইলে আর্থিক সেবায় (এমএফএস) জানুয়ারি মাসে ব্যক্তি থেকে ব্যক্তি হিসাবে ২ হাজার ৮৮৯ কোটি ৯৬ লাখ টাকা লেনদেন হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বেতন-ভাতা বাবদ বিতরণ হয় ২৮৪ কোটি ৯ ৩ লাখ টাকা। এছাড়া বিভিন্ন পরিষেবার ১৯৬ কোটি ১৬ লাখ টাকার বিল পরিশোধ হয় এবং কেনা কাটায় ৩৭৭ কোটি ২৮ লাখ লেনদেন হয়। সরকার থেকে ব্যক্তি কাছে ১১৪ কোটি ৪৩ লাখ টাকা। মোবাইলে টক টাইম ক্রয় ৯০ কোটি ৪৯ লাখ টাকা। 

বাংলাদেশ ব্যাংক ২০১০ সালে মোবাইল ব্যাংকিং কার্যক্রম চালু করে। ২০১১ সালের ৩১ মার্চ বেসরকারি খাতের ডাচ্‌-বাংলা ব্যাংকের মোবাইল ব্যাংকিং সেবা রকেটের মধ্য দিয়ে দেশে মোবাইল ফিন্যান্সিয়াল সার্ভিসের যাত্রা শুরু হয়। এর পরই ব্র্যাক ব্যাংকের সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে মোবাইল ব্যাংকিংসেবা চালু করে বিকাশ। এছাড়াও নগদ সহ বেশ কিছু প্রতিষ্ঠান মোবাইল ব্যাংকিংয়ের  সেবা দিয়ে যাচ্ছে।

বিভি/এইচএস

মন্তব্য করুন:

সর্বাধিক পঠিত
Drama Branding Details R2
Drama Branding Details R2