বছর ব্যবধানে এপ্রিলে রপ্তানি কমেছে ৩.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার

বছর ব্যবধান দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি কমেছে ৩.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। ২০২২ এর এপ্রিল মাসের তুলনায় ২০২৩ এর এপ্রিল মাসে দেশের পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যনীয়ভাবে ১৫.৪৮% হ্রাস পেয়েছে।
বুধবার (৩ মে) রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সর্বশেষ প্রকাশিত পরিসংখ্যান অনুযায়ী এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ পোশাক প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক সমিতি (বিজিএমইএ) পরিচালক মহিউদ্দিন রুবেল।
ইপিবি’র তথ্য অনুযায়ী, ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে আমাদের পোশাক রপ্তানি ৩৮.৫৭ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ের তুলনায় ৯ দশমিক ০৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।
ক্যাটাগরি ভিত্তিক বিভিন্ন বিভাগের রপ্তানি থেকে দেখা যায়, যে নিটওয়্যার রপ্তানি ২০.৯৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে, যেখানে ওভেন পোশাক রপ্তানি হয়েছে ১৭.৬০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার এবং নিটওয়্যার ও ওভেন রপ্তানিতে বছরওয়ারি প্রবৃদ্ধি হয়েছে যথাক্রমে ৮.৯৭% এবং ৯.২৪%, যা সার্বিকভাবে বাংলাদেশের পোশাক রপ্তানি আয়ের স্থিতিশীল প্রবৃদ্ধি নির্দেশ করে।
রপ্তানিতে সামগ্রিক ইতিবাচক প্রবণতা থাকা সত্ত্বেও, একক মাসের হিসাবে বিশ্লেষণ করলে পোশাক রপ্তানি প্রবৃদ্ধিতে সাম্প্রতিক পতন প্রতীয়মান হয়।
২০২২ এর এপ্রিল মাসের তুলনায় ২০২৩ এর এপ্রিল মাসে দেশের পোশাক রপ্তানি লক্ষ্যনীয়ভাবে ১৫.৪৮ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে, যার পরিমান ৩.৩২ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। রপ্তানি হ্রাসের এসব পরিসংখ্যান একত্রে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রপ্তানিতে নিম্নমূখী ধারা নির্দেশ করে যা ২০২২-২০২৩ অর্থবছরের উল্লেখিত সময়ের ইতিবাচক ধারার সাথে বৈপরিত্য প্রদর্শন করছে।
গত ৯ এপ্রিল রপ্তানি উন্নয়ন তহবিলের (ইডিএফ) ঋণ সীমা কমানোর সিদ্ধান্ত জানিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এক প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে রপ্তানিকারকরা ইডিএফ ফান্ড থেকে এখন সর্বোচ্চ ১ কোটি ডলার ঋণ নিতে পারবেন। এর আগে ছিলো ১ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
বিভি/ এইচএস
মন্তব্য করুন: