মাহে রমজানে বর্ণিল সাজে সেজেছে ঢাবি-বুয়েট ক্যাম্পাস
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়-বুয়েটের শের-ই বাংলা ছাত্রাবাস। শুধু ভারতবিরোধী পোস্ট দেওয়ার অপরাধে এই ছাত্রাবাসে শিবির ট্যাগ দিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করে আবরার ফাহাদকে শহীদ করেছিল ছাত্রলীগের বর্বর সন্ত্রাসীরা। তারপর থেকে ক্যাম্পাসে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ থাকলেও এখানে ধর্মচর্চা ছিলো ঝুঁকিপূর্ণ। ছিল ট্যাগিংয়ের ঝুঁকি। অথচ এবার রমজানে রঙিন আলোয় অপরূপ সাজে সেজেছে শহীদ আবরার ফাহাদের সেই ছাত্রাবাস। টাঙানো হয়েছে বিভিন্ন আয়াত হাদিসের বাণিও। একইভাবে সেজেছে বুয়েটের অন্য ছাত্রবাসগুলোও। যা নিয়ে বেশ উৎফুল্ল শিক্ষার্থীরা।
রমজান মাস উপলক্ষে শিক্ষার্থীদের উদ্যোগে আলোকসজ্জা হয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রাবাসগুলোও। রঙবেরঙের আলোকছটাকে নিজের মোবাইলে ধারণ করে নিচ্ছেন শিক্ষার্থীরা। বলছেন, ঢাবির হলগুলোতে এতদিন কোনঠাসা থাকা মুসলিম শিক্ষার্থীরা এবারই প্রথম রমজানকে উৎসবমূখর পরিবেশে বরণ করতে পারছেন।
ছেলেদের মতো নিজেদের হলগুলো সাজিছেন মেয়েরাও। হল প্রশাসনের সহযোগিতায় সেহরি-ইফতারেও আয়োজন করা হচ্ছে ভালো খাবার। রান্না হচ্ছে গরুর মাংসও। যা নতুন বাংলাদেশের সুফল, বলছেন ছাত্রীরাও।
এ বিষয়ে ছাত্রীহল সাজানোর অন্যতম উদ্যোক্তা নাফিসা ইসলাম সাকাফি বাংলাভিশনকে বলেন, বিগত বছরগুলোতে আমরা রমজান শুধু পালন করেছি। কিন্তু এটি যে মুসলমানদের একটি উৎসব সেটি আমাদের মনে থাকলেও পরিস্থিতির কারণে প্রকাশ করার সহাস পাইনি। কেননা রমজানে বটতলায় আমাদের কুরআন তিলাওয়াতেও বাধার মতো ঘটনা ঘটেছে। আমাদেরকে গণইফতারও করতে দেওয়া হয়নি। তবে এবার স্বৈরাচার পতনের পর শিক্ষার্থীরা মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছে। সেই সুযোগে সবাই হল সাজানোর আগ্রহ প্রকাশ করায় ছেলেদের হলের পাশাপাশি আমরা মেয়েরাও হল সাজিয়েছি।
আর দমিয়ে রাখা নয়, এভাবেই ক্যাম্পাসে সকল ধর্মের অনুসারীরা সবসময় নির্বিঘ্নে স্ব স্ব ধর্মীয় উৎসব উদযাপন করতে পারবেন এমন প্রত্যাশার কথা জানান এই নারী শিক্ষার্থী।
বিভি/এআই
মন্তব্য করুন: