স্কুল স্থাপনের খবরে খুশি স্থানীয়রা
প্রাইমারি স্কুল নেই পটুয়াখালীর মহিপুরের দুই গ্রামে
কোন প্রাইমারি স্কুল নেই পটুয়াখালীর মহিপুরের দুই গ্রামে। দীর্ঘ দিন প্রাথমিক শিক্ষা থেকে বঞ্চিত পটুয়াখালীর মহিপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের দুই গ্রামের শিশুরা। খাল-বিল ও মহাসড়ক পার হয়ে অনেকটা ঝুকি নিয়ে যেতে হয় দুরবর্তী স্কুলগুলোতে। যার ফলে শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থেকে যায় অনেক শিশু। ঝরেও পড়ে কেউ কেউ। ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম বলেন এর আগে মহিপুর এসআরওএসবি সমিতির মাধ্যমে কয়েকটি স্কুল পরিচালিত হলেও সেগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় অনেক শিশুই শিক্ষার আলো থেকে বঞ্চিত থেকে যাচ্ছে। 
স্থানীয় আব্দুল আউয়াল আকন বলেন, কাছে ধারে কোন স্কুল না থাকায় তার নাতি নাতনিদের পড়ানো নিয়ে বেশ ধকল পোহাতে হচ্ছে তার পরিবারকে। প্রাথমিক বিদ্যায়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক মাওলানা ইয়াকুব আলী জানান আরো বেশ আগেই ইউসুফপুরে একটি সরকারি প্রাথমকি বিদ্যালয় হওয়া দরকার ছিল কিন্তু তা করা সম্ভব হয়নি। সরকার স্কুল স্থাপন করলে তিনি প্রয়োজনীয় জমি দিতে ইচ্ছুক বলেও জানান এলাকার এই প্রবীন আলেম।
প্রায় একই কথা বলেছেন মৌলভী ইউসুফ আলী আকন ও সুলতান হাওলাদার।
এছাড়া নুরুল ইসলাম আকন বলেছেন শর্ত অনুযায়ী ৩৩ শতাংশ জমি দেয়ার পরে যদি ভবিষ্যতে আরো জমি প্রয়োজন হয় তবে তা স্কুলের অনুকুলে দান করতে প্রস্তুত এলাকাবাসী।
এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে সম্প্রতি ইউসুফপুর ও পূরাণ মহিপুর এলাকা পরিদর্শন করেছেন কলাপাড়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার মোঃ আবুল বশার। প্রাথমিক সমীক্ষা শেষে তিনি জানান, দুই কিলোমিটারের মধ্যে কোন স্কুল না থাকায় ইউসুফপুরে একটি সরকারি প্রাইমারি স্কুলের প্রাপ্ততা রয়েছে। বিদ্যালয়বিহীন এলাকায় এক হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপন শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় সেখানে একটি স্কুল স্থাপনে সকল প্রকার সহযোগিতার আশ্বাসও দেন তিনি। আগামী বছর থেকে পাঠদান শুরু লক্ষ্যে দ্রুত অনুমোদন ও পাকা ভবন নির্মাণ কাজ শুরুর সুপারিশ করবেন বলেও জানান উপজেলা শিক্ষা অফিসার।
স্থানীয় সংসদ সদস্য মহিব্বুর রহমানও পরদর্শন করেছেন স্কুলের জন্য নির্ধারিত স্থান। পরে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনার শিক্ষাবান্ধব সরকার শিক্ষার উন্ননে সবরকম চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। প্রাপ্যতা থাকলে ইউসুফপুরে প্রাথমিক বিদ্যালয় স্থাপনে তিনিও সুপারিশ করবেন।
অবশেষে সরকারিভাবে স্কুল স্থাপনের খবরে খুশি ইউসুফপুর ও পূরাণমহিপুরের কোমল মতিশিশুসহ এলাকাবাসি। শিশুদের শিক্ষার জন্য দ্রুত স্কুল স্থাপনের দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।
মন্তব্য করুন: