রোজায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছুটি দুইদিন, আদেশ জারি

রমজান মাসে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে ২০ মার্চ পর্যন্ত। একই সঙ্গে রমজানে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শুক্র ও শনিবার বন্ধ থাকবে। মঙ্গলবার (৫ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অফিস আদেশ এই তথ্য জানানো হয়।
অফিস আদেশে জানানো হয়, ভাইরাসজনিত রোগ (কোভিড-১৯)-এর প্রাদুর্ভাব জনিত কারণে দীর্ঘদিন শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রম ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষার্থীদের শিখন ঘাটতি পূরণকল্পে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি অনুসরণপূর্বক শ্রেণিকক্ষে পাঠদান অব্যাহত রাখার জন্য অনুরোধ করা হয়। ওই আদেশ সংশোধন করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান কার্যক্রম ২০ এপ্রিল পুনর্নির্ধারণ করা হলো। শুক্রবার ও শনিবার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ থাকবে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর স্ব স্ব কর্তৃপক্ষকে একাডেমিক কাউন্সিল ও সিন্ডিকেটের সিদ্ধান্তক্রমে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে অফিস আদেশে।
সোমবার (৪ এপ্রিল) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক বৈঠকে রমজানে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খোলা রাখার সময় ৬ দিন কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। আগে ঘোষণা করা হয়, ২৬ এপ্রিল পর্যন্ত মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকে ক্লাস চলবে। তবে ৬ দিন কমিয়ে ২০ এপ্রিল পর্যন্ত ক্লাস চলবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি।
পরে মন্ত্রণালয়ের তথ্য ও জনসংযোগ কর্মকর্তা এম এ খায়ের বৈঠকের বিষয়ে বলেন, ‘মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের সব প্রতিষ্ঠান আগামী ২০ এপ্রিল পর্যন্ত খোলা থাকবে। শুধু রমজান মাসে প্রত্যেক শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকবে।’
এর আগে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে পুরো রমজান মাসে ছুটি চেয়ে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ে স্মারকলিপি দিয়েছিল। স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ২০ রমজান পর্যন্ত প্রাথমিক বিদ্যালয় খোলা রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। চৈত্র মাসের প্রচণ্ড গরমে রোজা রেখে ক্লাস নেওয়া খুবই কষ্টসাধ্য হবে। তাছাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৮০ শতাংশ মহিলা শিক্ষক সেহরি প্রস্তুত করে সংসারে খাওয়া-দাওয়া করিয়ে সারাদিন স্কুল শেষে আবারও ইফতারের প্রস্তুতি নেওয়া তাদের জন্য খুব কষ্টকর হবে।
আরও বলা হয়েছে, অনেক বছর ধরে শিক্ষক বদলি বন্ধ থাকায় অধিকাংশ শিক্ষক নিজ বাসস্থান থেকে অনেক দূরে প্রত্যন্ত অঞ্চলে শিক্ষকতা করছেন। রমজান মাসে সকাল বেলা গাড়ি, সিএনজি, রিকশা ইত্যাদি কম চলাচল করে। ফলে, দূরবর্তী বিদ্যালয়গামী শিক্ষকদের যানবাহন পেতে খুবই সমস্যা হবে এবং সকাল বেলা রাস্তাঘাট নিরিবিলি থাকার ফলে শিক্ষকগণ ছিনতাইসহ বিভিন্ন অপ্রীতিকর ঘটনার শিকার হতে পারেন। রমজানে শিশুরা সাধারণত কোরআন শিক্ষায় ভর্তি হয়। তখন শিশুরা বিদ্যালয়ে না এসে কোরআন শিক্ষাকেন্দ্রে চলে যায়। এতে পাঠদান কার্যক্রমে স্থবিরতা নেমে আসে।
বিভি/এইচএস
মন্তব্য করুন: