জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হলে এক চাবিতেই খোলে একাধিক তালা!

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে এক চাবিতেই খুলছে একাধিক রুমের তালা। প্রতি রুমের চাবি বাবদ ৮০০ টাকা দিয়েও এই ঘটনায় বিব্রত হলের শিক্ষার্থীরা। এতে করে প্রতি রুমের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা নিয়েও দেখা দিয়েছে শঙ্কা। তবে হলের তালা-চাবি বণ্টন কমিটির দাবি এমন কোন অভিযোগ তারা পাননি।
জানা গেছে, ১৬ তলা বিশিষ্ট হলটিতে কক্ষ আছে ১৫৬টি। প্রতি রুমে ৮ জন করে শিক্ষার্থী থাকেন। একটি রুমে একটি করে তালা ফ্রিতে দেয়া হলেও রুমের ৮ জনের চাবির জন্য হল কর্তৃপক্ষকে ৮০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। তবে এত দামে পরোক্ষভাবে তালা-চাবি নেওয়ার পরেও যেন নিরাপত্তা নিশ্চিত হচ্ছেন। ৯০১, ৯০৮ ও ৯০৮ নাম্বার রুমের তালার চাবি একই। অর্থাৎ এক রুমের চাবি দিয়ে খোলা যাচ্ছে আরেকটি রুম। এমন আরও বেশ কয়েকটি রুমের তালার চাবি একই বলে জানা গেছে।
অর্থাৎ চাবির জন্য শিক্ষার্থী প্রতি ১০০ টাকা করে দিতে হচ্ছে। কিন্তু আলিফ প্রিমিয়ারের এই তালাটি ৮ চাবিসহ বাজারে ৩৫০ টাকা দামে বিক্রি হচ্ছে বলে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে।
এদিকে তালা-চাবির উচ্চমূল্য নির্ধারণের সমালোচনার পর নতুন করে সমালোচিত হচ্ছে এক চাবিতে একাধিক রুমের তালা খোলার বিষয়টি।
হলের কয়েকজন শিক্ষার্থী বলেন, এক চাবির জন্য দ্বিগুণ টাকা নিচ্ছে। এত টাকা দিয়ে একটি রুমের চাবি নিতে হচ্ছে যেখানে এক চাবিতেই একাধিক রুমের দরজা খোলা যাচ্ছে। তাহলে এত টাকা দিয়ে চাবি নেওয়ার পরও রুমের নিরাপত্তার বিষয়টির কোন সুফলই মিলবে না।
ছাত্রী হলের ৯০১ নম্বর রুমের আবাসিক শিক্ষার্থী জেসমিন বলেন, এক চাবিতে একাধিক তালা খোলার বিষয়টি সত্য। সকালবেলা পাশের ৯০৯ নম্বর রুমের আপুরা যখন আসে তখন আমি উপস্থিত ছিলাম। এমন অবস্থা যদি হয় তাহলে আমাদের নিরাপত্তা কোথায়! বিষয়টি কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, তাদের পাওয়াই যায় না। তাই এখনও জানানো হয়নি।
এ বিষয়ে হলের আবাসিক শিক্ষক ও তালা-চাবি বণ্টন কমিটির আহবায়ক অধ্যাপক ড. প্রতিভা রানী কর্মকার জানান, তালা-চাবি প্রদান করার প্রক্রিয়া এখন বন্ধ রয়েছে। এক চাবিতে একাধিক তালা খোলার বিষয়ে তিনি জানান, এমন কোন অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। যদি এমন হয়ে থাকে তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার কথা বিবেচনা করে আমরা সমস্ত তালা-চাবি পরিবর্তন করব।
বিভি/এসি/এজেড
মন্তব্য করুন: