বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে বিষধর সাপ

বিষধর সাপ উদ্ধার করা হয়েছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। সাপটি প্রায় পাঁচ ফুট লম্বা। ধারণা, সাপটির নাম কাল কেউটে। বৃহস্পতিবার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুর একটার দিকে বঙ্গবন্ধু হলের পিছন থেকে সাপটি উদ্ধার করা হয়।
জানা যায়, গত দুদিন ধরে সাপটি দেখা মিলে। হলের নিচতলার পিছনে একটি গর্তে সাপটির বাসস্থান। সকালের দিকে যখন হলের দেয়াল ঘেঁষে সাপটি উঠেছিলো তখন একজন কর্মচারী দেখতে পায়। পরে শিক্ষার্থীরা জড়ো হয়ে যায়। দুপুরে সাপুড়েকে খবর দিলে তারা সেটি ধরে নিয়ে যায়।
সাপুড়ে জানাই, সাপটি বিষধর। ছোবল দিলে যে কেউ মারা যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই! সাপটি স্ত্রী লিঙ্গের, সেখানে আরেকটি পুরুষ সাপ রয়েছে। পুরুষ সাপটি পাওয়া যায়নি। তবে দুই ডজন সাপের ডিম উদ্ধার করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে প্রচুর ঝোপ-ঝাড় হয়ে আছে। চারপাশে অপরিচ্ছন্নতা রয়েছে। যেগুলোর কারণে বিষাক্ত পোকামাকড়ের উপদ্রব বেড়ে গেছে। এমনকি কয়েকদিন আগে মেছো বাঘের দেখা মিলেছে এই ক্যাম্পাসে।বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস অগোছালো ক্যাম্পাসে পরিণত হয়েছে। আমরা এখন আতঙ্কে আছি। কারণ বিষধর সাপ আরো থাকতে পারে। এগুলো অপসারণ ও পরিষ্কার করা জরুরি।
এ বিষয়ে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মোঃ ছাদেকুল আরেফিনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তিনি বলেন, ক্যাম্পাসটি পরিচ্ছন্ন করতে আমরা অনেক ভেবেছি ও আলোচনা করেছি। কিন্তু বর্ষার সময়ে সেটি সম্ভব হয়ে উঠছে না। তবে খুব দ্রুতই ঝোপ ঝাড়গুলো পরিষ্কার করা হবে। ইতোমধ্যে আমি সকল প্রভোস্টদের নির্দেশ দিয়েছি যাতে হলের চারপাশ পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করেন।
বিভি/জেএ/এইচএস
মন্তব্য করুন: