উপাচার্য এলেন, কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নিতে বলেই চলে গেলেন

পাঁচদফা দাবি আদায়ে অনশনরত শিক্ষার্থীরা অসুস্থ হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার নির্দেশনা দিয়ে গেছেন কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এফ এম আবদুল মঈন। রবিবার (১৯ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে বৃষ্টিভেজা শিক্ষার্থীদেরকে দেখতে এসে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দীর্ঘ ১০দিন শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করার পরও তাঁদের দাবি আদায় না হওয়ায় ১৯ মার্চ বিকেল ৪টায় অনশনে বসেন তাঁরা। অনশনে বসার পর সন্ধ্যা শুরু হতেই বৃষ্টি নামতে শুরু করে।
অনশনরত শিক্ষার্থীরা বৃষ্টি উপেক্ষা করে অনশন চালিয়ে গেলে তাঁদের সঙ্গে কথা বলতে আসেন উপাচার্য। তবে দাবি আদায়ে অনড় শিক্ষার্থীরা অনশন ভাঙবেন না বলে জানান।
এসময় সাংবাদিকরা উপাচার্যের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করবেন না বলে জানান।
এদিকে উপাচার্য থেকে কোনো আশার বাণী না পেয়ে সাড়ে ৮টায় আগের চার শিক্ষার্থীর সাথে নতুন করে অনশনে যোগ দেন কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী ও কাজী নজরুল ইসলাম হল ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নাজমুল হাসান পলাশও।
এর আগে বিকেল সাড়ে ৫টায় অনশনরত শিক্ষার্থীদেরকে দেখতে এসে সান্তনা দিয়ে চলে যান কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মো. আসাদুজ্জামান। তবে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করলে তিনিও কোনো উত্তর না দিয়েই স্থান ত্যাগ করেন।
এর আগে গত ১৬ মার্চ আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর জাস্টিস’এ আজ দুপুর ১২টার মধ্যে তাঁদের দাবিসমূহ আদায়ের জন্য আল্টিমেটাম দেন। একই সময়ে প্রক্টরকে ক্যাম্পাসে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেন তাঁরা।
তাঁদের আল্টিমেটাম দেওয়া সময়ের মধ্যে উত্থাপিত কোনো দাবি পূরণ না হওয়ায় সংবাদ সম্মেলন করে ঘোষণা দিয়ে অনশনে বসেন তাঁরা। সংবাদ সম্মেলনে অনশনকারী শিক্ষার্থী কাজল হোসাইন বলেন, তাঁদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত তাঁরা অনশন চালিয়ে যাবেন।
বিভি/এমএম/এইচএস
মন্তব্য করুন: