মো. ফাহাদের ঈদের নাটক জ্বালাও প্রেমের বাত্তি

নান্দনিক নাট্যকার ফরিদুল ইসলাম রুবেলের রচনা এবং মো. ফাহাদের পরিচালনায় নির্মাণ হলো ঈদের বিশেষ নাটক ‘জ্বালাও প্রেমের বাত্তি’। অভিনয়ে- আখম হাসান, মৌসুমী হামিদ, কাজী রাজু, রেশমা আহমেদ, জামাল রাজা, জুলফিকার চঞ্চল, ফরিদ হোসাইন, ঋকি প্রমুখ।
নাট্যকার ফরিদুল ইসলাম রুবেল বলেন, আমি সব সময় চেষ্টা করি দর্শককে নতুন কিছু না কিছু দিতে। প্রেমের বাত্তি কি আদৌতে জ্বালাতে পারবেন কিনা, সেইটা দেখতে হলে অপেক্ষা করতে হবে কবে নাগাদ ছুটি দেয় তার ওপর।
পরিচালক মো. ফাহাদ বলেন, প্রেম করতে গিয়ে যদি বাধাগ্রস্থ হয়, তখন অনিচ্ছাকৃত হলেও তা ভালো লাগবে না কারোরই। নিজ প্রেমিকের সঙ্গে নিরিবিলি প্রেম করতে গিয়ে গ্রামের বিদ্যুৎ লাইনও কেটে দেয় আখম হাসান। প্রেমের জন্য জীবনে কত কিছুই না করে সে। কিন্তু সে প্রেম কয়জনের কপালেই বা টিকে।
গল্পে দেখা যায়, বীরতুল গ্রামের বাসিন্দা শাহরুখ খান পেশায় একজন দক্ষ ইলেকট্রিশিয়ান। গ্রামের কোনো বাড়িতে বিদ্যুৎ নিয়ে কোনো সমস্যা হলে সর্ব প্রথম শাহরুখ খানের ডাক আসে। শাহরুখ খান ভালোবাসে গ্রামের মেয়ে কাজলকে। সারাদিন কাজে থাকার কারণে রাত হলেই কাজলকে দেখতে মন চায় তার। কিন্তু রাতের বেলায় কাজলের বাড়িতে গেলে তার পরিবারের কেউ দেখে ফেললে আর রক্ষা নেই। কিভাবে কি করবে কোনো কিছু ভেবে পায় না। কথায় আছে ‘প্রেম মানে না শাসন-বারণ’।
গ্রামবাসী অতিষ্ট হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় যেভাবেই হোক এর রহস্য বের করবে, যেই কথা সেই কাজ। সন্ধ্যা হতেই সবাই পাহাড়া দেয়া আরম্ভ করে। দেখা যায় সুরুজ ট্রান্সফরমার থেকে বিদ্যুতের সংযোগ বিচ্ছিন্ন করতেই মুহূর্তের মধ্যে গ্রাম অন্ধকারে ডেকে যায়। শাহরুখ খান পালোয়ানের মতো কাজলর সাথে দেখা করতে যায়, সেখানে গ্রামবাসী তাদের ধরে ফেলে।
গ্রাম সালিশ বসে তাদের দুইজনকে নিয়ে। সেখানে সবকিছু স্বীকার করে দুইজন। কেন শাহরুখ গ্রামের মানুষের সাথে এমন একটা গেম খেললো সেটা জানতে চায় সবাই। শাহরুখ সবকিছু তাদের সামনে খুলে বলে। তার কথা শুনে উপস্থিত সবাই তাদের ভালোবাসার গভীরতা বুঝতে পারে। সেখানে সিদ্ধান্ত হয় শাহরুখ খান ও কাজলের চার হাত এক করা মানে বিয়ে দেওয়া হবে। পরিশেষে গ্রাম সালিশে তাদের জ্বালাও প্রেমের বাত্তির পরিসমাপ্তি ঘটে।
বিভি/এসজি
মন্তব্য করুন: