ইলিয়াস কাঞ্চন-নিপুণসহ ১১ জনকে জায়েদ খানের উকিল নোটিশ

ছবি সংগৃহিত
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির গত ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত সভা অবৈধ উল্লেখ করে উপস্থিত ১১ জনকে উকিল নোটিশ পাঠিয়েছেন চিত্রনায়ক জায়েদ খান। সোমবার (২৮ মার্চ) চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন ও নায়িকা নিপুণ আক্তারের নেতৃত্বে গত ২৬ মার্চ অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সভা অবৈধ উল্লেখ করে জায়েদ খানের পক্ষে তাঁর আইনজীবী তানভীর হোসেন খান এ নোটিশ পাঠিয়েছেন।
নোটিশপ্রাপ্তরা হলেন, সমিতির সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চন, নিপুণ আক্তার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক আরমান, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মামনুন ইমন, কোষাধ্যক্ষ আজাদ খান, কার্যনির্বাহী সদস্য অঞ্জনা, কেয়া, জেসমিন আক্তার, অমিত হাসান ও নাদের খান।
নোটিশে বলা হয়েছে, ২৬ মার্চ বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবস ও সরকারি সাধারণ ছুটির দিনে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির মিটিং আয়োজন করা হয়েছে। এর উদ্দেশ্য অসৎ। সেইসাথে তা সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের দেওয়া রায়েরও লঙ্ঘন করেছে।
২৬ মার্চের মিটিংয়ের কার্যবিরণী বাতিল করে সকল নোটিশগ্রহিতাকে অনুরোধ করা হয়েছে যাতে নিপুণকে আর কোনো মিটিংয়ে অংশ নেয়ার সুযোগ না দেওয়া হয়। গত ১৪ মার্চ আপিল বিভাগের দেওয়া আদেশ অনুযায়ী নিপুণকে মিটিংয়ে না নেয়ার এই অনুরোধ করা হয়েছে নোটিশে।
জায়েদ খান বলেন, ‘আলাদতের নির্দেশ অনুযায়ী সাধারণ সম্পাদকের বিষয় এখনো স্থগিত। আমি কিংবা নিপুণ কেউই এখন এই পদে বসে কোন দায়িত্ব পালন করতে পারবো না। বিষয়টি কঠোরভাবে মানার জন্য বারবার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। সে জায়াগায় কাঞ্চন ভাই কিভাবে অমিমাংসিত পদটিতে একজনকে বসিয়ে মিটিং করেন?’
একইসঙ্গে নোটিশ গ্রহিতাদের আগামী তিন দিনের মধ্যে এ ধরনের কার্যক্রম কেন করা হয়েছে তার লিখিত জবাব দিতে বলা হয়েছে। অন্যতায় আদালত অবমাননার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হবে।
এবিষয়ে জায়েদ খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘একের পর এক অন্যায় হয়েই চলেছে শিল্পী সমিতিতে। এত অন্যায় মেনে নেয়া যায় না। তাই নোটিশ পাঠিয়েছি।’
অপরদিকে কমিটির শিল্পী সমিতির সহ সাধারণ সম্পাদক সাইমন সাদিক বলেন, ‘কোনো নোটিশ পাইনি৷ এসব নিয়ে চিন্তাও করছি না। শিল্পীরা দায়িত্ব দিয়েছেন, কাজ করে যেতে চাই। আদালতের কোনো নোটিশ আসলে তখন অবশ্যই বিবেচনা করবো।’
বিভি/এএইচ/এইচএস
মন্তব্য করুন: