নাট্যঙ্গনের প্রিয় মোটা মিঠু

বাংলা নাটকে জনপ্রিয় মুখ মাসুদ রানা মিঠু। নাট্যাঙ্গনে সবাই তাকে মোটা মিঠু নামেই চেনে। ১৯৯০ সাল থেকে মঞ্চনাটকে কাজ করলেও আবু সাইয়ীদ পরিচালিত ‘কীত্তন খোলা’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তার অভিষেক ঘটে। তাঁর উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র বিচ্ছু বাহিনী, আয়না, সিটি রংবাজ, মনপুরা, চোরাবালি।
মিঠু মামুনুর রশীদের পরিচালনায় ‘এলবি ডব্লিউ’ নাটকে প্রথম অভিনয় করে। এছাড়া মামুনুর রশীদের পরিচালনায় ‘সবুজ অপেরা’ নাটকে কুলির সর্দারের অভিনয় করে ব্যাপক দর্শক প্রিয়তা অর্জন করেন। মিঠু প্রায় তিনশত নাটকে অভিনয় করেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটক- ঘরকুটুম, হারকিপ্টে, বানর মধু, সাকিন সারিসুরি, নূরজাহান ইত্যাদি।
বড় পর্দায় নিয়মিত কাজ করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি পাবনা শহর থেকে এসেছি। মঞ্চ থেকে বড় পর্দায় কাজ করব বলেই এসেছিলাম। বড় পর্দায় কিছু কাজ আমার করা হয়েছে-গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে করা হয়নি। ছোট-ছোট চরিত্রে করা হয়েছে। আমার ভেতরের সমস্ত স্বপ্ন বড় পর্দায় কাজ করার জন্যই। বড় পর্দায় কাজ অনেক বড় করেই করা যায়। বড় পর্দায় ভালো কোনো সুযোগ পেলে করব।
নাটকের পাশাপাশি ব্যক্তি জীবনে বিভিন্ন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে নিজেকে নিয়োজিত রাখতে পছন্দ করেন এই অভিনেতা। তিনি যৌতুক বিরোধী, গণশিক্ষা,গণ-নাট্য ফোরাম, পুষ্টি ও স্বাস্থ্য নিয়ে কাজের পাশাপাশি করোনা মহামারিতে সারা বাংলাদেশে ডাক্তার ও রোগিদের জন্য মাস্ক ও পিপিই সরবরাহ করেছেন।
বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, একদিন আমার কলেজ শিক্ষক বলেছিলেন তোমার বাবা যদি না থাকতো তাহলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী আমাকে মেরে ফেলতো। আমার বাবাকে আমি বলেছিলাম আপনি মুক্তিযুদ্ধের সার্টিফিকেট নেন নাই কেন? তিনি বলেছিলেন, দেশের জন্য যুদ্ধ করেছি। সার্টিফিকেটের মুক্তিযোদ্ধা আমি হতে চাই না। বঙ্গবন্ধুর ডাকে যুদ্ধ করেছি এটাই আমার আনন্দ।
নতুনদের কাজের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, নতুনরা অনেক মেধাবী কিন্তু তাঁরা থিয়েটার অনেক কম করছে। অভিনয় শেখাটা কম পড়ছে। শুটিংয়ে মনোনিবেশ কম করছে। বড়দের ফলো কম করছে। ওরা যদি এগুলো ফলো করতো তাহলে আমাদের দেশে খুব ভালো শিল্পী তৈরি হতো। খুব ভালো কারিগর ও প্রযোজক তৈরি হতো। শেখার জন্য যতটুকু যা কিছু করার দরকার তা করতে হবে। না হলে নিজেকে তৈরি করা যাবে না। দেশকেও ভালো কিছু দেয়া যাবে না।
বিভি/রিসি
মন্তব্য করুন: